|
|
|
|
পুরীর পথে দুর্ঘটনায় মৃত ৯, আহত ১০ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
বাসে চেপে পুরী বেড়াতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ৩ মহিলা-সহ ৯ জনের।
মঙ্গলবার ভোররাতে ওড়িশার জামঝাড়ির কাছে ৫ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি পাথরবোঝাই ট্রাক বাসটিকে পিছন থেকে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৭ জনের। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে মৃত্যু হয় আরও দু’জনের। মৃত তপন বেরা (৩৫), আশিস ত্রিপাঠি (৪০), গুরুপদ শাসমল (৫০), লক্ষ্মণ পাল (৫৫), দীপক শী (৪০), শ্যামলী শী (২৮), খুকু মাইতি (৩০) ও আভা মাইতি (৪০) পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানার পুরুষোত্তমপুর এলাকার বাসিন্দা। প্রত্যেকেই পেশায় বিড়িশ্রমিক। মৃত্যু হয়েছে বাসের খালাসিরও। তাঁর পরিচয় অবশ্য এখনও জানা যায়নি। গুরুতর জখম অবস্থায় আরও দশ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ট্রাকটির চালক ও খালাসি পলাতক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁশকুড়ার পুরুষোত্তমপুরে সিটুর বিড়ি শ্রমিক সংগঠন থেকে পুরী বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। মোট ৬৫ জন যাত্রী ছিলেন বাসে। সোমবার রাত ১০টা নাগাদ বাসটি পুরুষোত্তমপুর থেকে ছাড়ে। রাতভর চলার পরে ভোরবেলা বালেশ্বর থেকে ৪২ কিলোমিটার দূরে জামঝাড়ির কাছে একটি ধাবার সামনে যাত্রীদের চা খাওয়ার জন্য বাসটি দাঁড়ায়। সেই সময়ই পিছন দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি ট্রাক বাসটিকে ধাক্কা মারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দম্পতি দীপক শী ও শ্যামলী শী-র বাড়ি ফকিরগঞ্জ গ্রামে। তাঁদের দশ বছরের মেয়ে মণিদীপা ও ছয় বছরের লাবণী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃত লক্ষ্মণ পালও ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। আশিস ত্রিপাঠি ও গুরুপদ শাসমল পুরুষোত্তমপুর গ্রামের বাসিন্দা। দেউলিচক গ্রামে বাড়ি তপন বেরার। নিত্যানন্দচক গ্রামের খুকু মাইতি এবং আভা মাইতি সম্পর্কে দুই জা।
তাঁদের পরিবারের সদস্য অমিয় মাইতি বলেন, “ভোর ৪টে নাগাদ ফোনে বাসেরই এক যাত্রী দুর্ঘটনার খবর জানান। আমরা পাঁশকুড়া থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও বিস্তারিত কিছু জানতে পারিনি। পরে খবর পাই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে আমাদের পরিবারের দু’জনের।” আভাদেবীর স্বামী সুদর্শন মাইতিও ওই বাসে ছিলেন। তিনি অবশ্য সুস্থ। মৃতদের দেহ মঙ্গলবার রাতে পাঁশকুড়ায় আনা হয়। |
|
|
|
|
|