নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রতিপক্ষ ছিল দুটো। একদিকে ৪০০ রানের পাহাড়, অন্য দিকে ৪০ ডিগ্রি পেরনো তাপমাত্রা।
দুটোই জয় করে মরসুমের দ্বিতীয় ট্রফি ঘরে তুলল মোহনবাগান। জে সি মুখোপাধ্যায়ের পরে এ এন ঘোষ ট্রফি। কালীঘাটের ৪০১-৭ পেরিয়ে গেল ৮৪ ওভারে, স্কোর ৪০৩-৭। ইডেনে এক দিনে ৮৫ ওভারে ৪০০ তাড়া করতে হলে যে স্ট্র্যাটেজি দরকার, ঠিক সেটাই নিয়েছিল মোহনবাগান। কোচ পলাশ নন্দীর ছকে দেওয়া স্ট্র্যাটেজি। যেখানে প্রথম দুটো সেশনে ২৫০ তোলার টার্গেট ছিল। আর শেষ সেশনে ১৫০। এক সময় মোহনবাগান যখন ২২৯-৫, ম্যাচে প্রবল ভাবে ছিল কালীঘাট। মাত্র চার রান করে প্যাভিলিয়নে লক্ষ্মী। কিন্তু পরিস্থিতি সামলে দেন গৌতম গম্ভীরের প্রিয় ‘দাসি’ ও মোহনবাগান অধিনায়ক সঞ্জীব সান্যাল। ৮৯ বলে ৭১ রানের দামি ইনিংস এল দেবব্রতের ব্যাট থেকে আর শেষ পর্যন্ত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে ফিরলেন অধিনায়ক সঞ্জীব। |
ইডেনে ম্যাচ জিতে সঞ্জীব-দেবব্রতরা। মঙ্গলবার। —নিজস্ব চিত্র |
বল হাতে পাঁচ উইকেটের পরে ব্যাটে অবদান ৬৯ বলে ৬৯ নট আউট। ম্যাচ শেষে সঞ্জীব বলছিলেন, ‘‘স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী আস্কিং রেট সব সময়ই আয়ত্তের মধ্যে ছিল। বরং সমস্যা ছিল গরম। সবাই রান পেয়ে যাওয়ায় ৪০০ রানটাও তাড়া করা গেল।”
শুধু দেবব্রত বা সঞ্জীব নন, মোহনবাগানের হয়ে রান করলেন সৌরাশিস, অরিন্দম, শুভময়ও। ওপেন করতে নেমে ৬৭ বলে ৫২ রান করে যান সৌরাশিস। শুভময় করেন ৬৭ আর অরিন্দম ঘোষ ৭৫। ও দিকে, সল্টলেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে টাউনকে হারিয়ে লিগের ফাইনালে উঠল ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গলের ৩৯৬ রানের জবাবে টাউন শেষ ৩২৫ রানে। পঙ্কজ শাহ করেন ৯১ নট আউট। সফলতম বোলার অর্ণব নন্দী (৬-৭৪)। |