জেলায় এক দিনে মৃত ১০ |
মাথার উপর আকাশ পুড়ছে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
তাপমাত্রার পারদ চড়ছেই। মেদিনীপুরে এখন হাঁসফাঁস করা গরম। সোমবার মেদিনীপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর মঙ্গলবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তাকেও ছাপিয়ে গেল। মেদিনীপুর কলেজের এন সি রাণা আকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে খবর, এ দিন মেদিনীপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ২৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ছিল ৮০
শতাংশ। সর্বনিম্ন ২০ শতাংশ। এ দিন সকাল
থেকেই মেদিনীপুর ও তার আশপাশের এলাকায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়।থানায় ডিউটি সেরে বাড়ি ফেরার পথে গরমে অসুস্থ হয়ে মারা যান বেলদা থানার পুলিশকর্মী অপূর্ব পাল (৫৫)। |
|
মঙ্গলবার দুপুর। তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে ৪৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সুনসান সদাব্যস্ত কালেক্টরেট মোড়। সৌমেশ্বর মণ্ডলের তোলা ছবি। |
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন দুপুরে সাইকেলে বাড়ির ফেরার পথে অসুস্থ হন তিনি। এ দিন দুপুরেই মেদিনীপুর শহরের কেরানিতলায় এক ফেরিওয়ালা অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের নাম তারিকুল ইসলাম (৪৬)। দুপুরে মেদিনীপুর সদর ব্লকের বনপুরায় বাড়ি ফেরার পথে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। মৃতের নাম নারায়ণ হেমব্রম (৩৮)। কোলসান্ডাতেও এক মাঝবয়সী ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। রাস্তার এক পাশে দেহটি পড়েছিল। মৃতের নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সকালে ঝাড়গ্রামের লোধাশুলির জমাধি থেকেও এক প্রৌঢ়ার দেহ উদ্ধার হয়। গিধনিতে ৮২ বছরের বৃদ্ধ অধীর ঘোষ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে আনা হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। খড়্গপুর শহরের ছোট ট্যাংরা থেকেও এ দিন সকালে এক বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। শহরের সুভাষপল্লি এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে প্রদীপ মিত্র ও অনিমেষ সরকার নামে দুই ব্যক্তির দেহও উদ্ধার হয়। অনুমান, গরমে অসুস্থ হয়েই তাঁরা মারা গিয়েছেন। এ দিন বাস চালানোর সময়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন চন্দ্রকোনার প্রদীপ সেন (৩৮)। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই বাসচালকের। ‘হিট স্ট্রোকে’ তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। |
|