পাড় জুড়ে থাকবে সবুজ ঘাসের গালিচা। রেলিংয়ের চারদিকে লাগানো হবে পাতাবাহার। থাকবে দেবদারুর সারি। মাঝে মাঝে বসানো হবে ঝাউগাছ। চারদিকে বোগেনভেলিয়া, মরসুমি ফুলের শোভ বাড়তি আকর্ষণ। আগামী শীতের মরশুমের আগে এমনই সাজে কোচবিহারের সাগরদিঘি সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে বন দফতর ও জেলা প্রশাসন। বন দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, এরজন্য সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা খরচ হবে। এরমধ্যে জেলা প্রশাসন দেড় লক্ষ টাকা ও বন দফতর ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “সাগরদিঘি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। এবার শীতের মরসুমের আগে ওই দিঘি চত্বর নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও বন দফতর কাজ করবে।” |
হিমাংশুরঞ্জন দেবের তোলা ছবি। |
কোচবিহারের প্রাণকেন্দ্রে রাজাদের আমলে ওই বিশাল জলাশয় খনন করা হয়। সেটির চারদিকে জেলার বিভিন্ন দফতরের পদস্থ কর্তাদের অফিস রয়েছে। কিন্তু দিঘির চারপাশ সাজা’র জন্য যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে। কোচবিহার পুরসভার তরফে সাগরদিঘির চারদিকে রাজাদের ছবি-সহ বিভিন্ন তথ্য সমৃদ্ধ বোর্ড লাগানো হয়। দিঘির চারদিকে বাতিস্তম্ভও বসানো হয়েছে। এবার সবুজ ঘাস, গাছ, বাহারী ফুলের শোভায় দিঘির চেহারা অনেকটা বদলাবে বলে মনে করা হচ্ছে। জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “সাগরদিঘি সৌন্দর্যকরণের জন্য বন দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। কাজ শেষ হলে দিঘির চেহারা অনেকটাই বদলে যাবে।” বন দফতর সূত্রের খবর, সাগরদিঘি সাজার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে দিঘির ভিতরের দিকে পাড় বিক্ষিপ্ত ভাবে অসমান হয়ে রয়েছে। প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ থেকে নানা আবর্জনাও দিঘির চারদিকে পড়ে থাকছে। কাপড় কাঁচা, স্নান করা নিত্যকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সব সমস্যা এড়াতে রেলিংয়ের ভেতরে দেওয়ালের আদলে গ্রিল ঘেষে পাতা বাহারের পুরু সারি লাগানো হবে। চারদিকে লাগানো হবে প্রায় ৫০০ ঝাউ, দেবদারু গাছ। বেগুনি, হলুদ, সাদা, গোলাপি বোগেনভেলিয়া ছাড়াও মরশুমি ফুল থাকবে। সবমিলিয়ে সাগরদিঘি চত্বর সারাবছরেই পাখির কলতানে মুখর হয়ে থাকবে এমনটাই ধারণা বন কর্তাদের একাংশের। বন দফতরের উদ্যান শাখার উত্তরবঙ্গের ডিএফও রানা দত্ত বলেন, “শীতের আগেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা যাবে বলে আশা করছি।” কোচবিহার হেরিটেজ সোসাইটির সম্পাদক অরুপজ্যোতি মজুমদার বলেন, “ওই চত্বর পুরো বিজ্ঞাপনমুক্ত করা দরকার। পাশাপাশি, রক্ষণাবেক্ষনে জোর দিতে হবে।” |