মাওবাদী-পিএলএ সম্পর্কের তদন্তে জড়িয়ে গেল মানবাধিকার কর্মীর নাম। গত কাল গোলাঘাট থেকে ধরা পড়লেন মানবাধিকার সংগ্রাম সমিতির প্রাক্তন সম্পাদক তথা অসম ছাত্র যুব সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা পল্লব বরবরা ওরফে প্রফুল্ল। কাল, এসডিজেএম আদালত থেকে দুই দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে পল্লববাবুকে গুয়াহাটি আনা হয়েছে। এনআইএ সূত্রে খবর, সম্প্রতি ধরা পড়া ইন্দ্রনীল চন্দের কাছ থেকেই পল্লববাবুর সঙ্গে মাওবাদী যোগাযোগের কথা জানা গিয়েছিল। এনআইএ-র তরফে নিশ্চিত করে জানানো হয়, পল্লববাবু সিপিআই মাও বাহিনীর সদস্য ও অসম-অরুণাচলে মাওবাদী ঘাঁটি প্রসারে তাঁর বিস্তর অবদান রয়েছে। আরও দাবি, কেবল মাওবাদীদের সঙ্গেই নয়, পল্লববাবুর সঙ্গে আলফারও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ২০০৪ সালে, আলফার সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন।
এ দিন পরেশপন্থী আলফার তরফে পল্লববাবুর গ্রেফতারির কড়া সমালোচনা করে বিবৃতি পাঠানো হয়। এনআইএ সূত্রে জানানো হয়েছে, পল্লব বরবরা ও অপর মাওবাদী নেতা আদিত্য বরা মাওবাদীদের হয়ে প্রকাশ্যে কাজ করার উদ্দেশ্যেই অসম ছাত্র যুব সংস্থা গঠন করেন। মণিপুরের পিএলএ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে এক দিকে আলফা অন্য দিকে মাওবাদীদের যোগাযোগের অন্যতম সেতু ছিলেন এই পল্লব বরবরা।
পুলিশ ও গোয়েন্দাদের অভিযোগ, উজানি অসমের বহু যুবককে মাওবাদী সংগঠনে চেনে আনেন পল্লব। অরুণাচলে মাওবাদী ঘাঁটি বিস্তারের কাজেও তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। মানবাধিকার সংগ্রাম সমিতির এক সময়কার সেক্রেটারি জেনারেল বরবরা, এলাকায় শিক্ষাবিদ হিসাবেই পরিচিত। মেরাপানির জাতীয় বিদ্যালয়ের অধিকর্তা তিনি। পল্লববাবুর স্ত্রী ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। পরেশপন্থী অরুণোদয় অসমের অভিযোগ, “গোটাটাই আসলে চক্রান্ত।” |