কয়লাখনি বণ্টন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ সিবিআইকে ‘নিরপেক্ষ ভাবে’ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়। সিবিআই-ও ইতিমধ্যে ১৪টি দল গড়ে তদন্তের প্রাথমিক কাজ শুরু করে দিয়েছে। কয়লা মন্ত্রকের কাছ থেকে কিছু রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকা এই তদন্তকারী সংস্থা।
বেশ কিছু দিন ‘নীরবতার’ পর গত সপ্তাহে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়লাখনি বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে টিম-অণ্ণা। অরবিন্দ কেজরিওয়াল-প্রশান্ত ভূষণদের বক্তব্য, ২০০৬ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকার সময়ে কয়লা মন্ত্রক বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থাকে নিলাম ছাড়াই কয়লাখনি বণ্টন করে। এ ঘটনার পিছনে আর্থিক লেনদেন রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন অণ্ণা-সহযোগীরা। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এমন অভিযোগ দুর্ভাগ্যজনক। দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হলে শুধু প্রধানমন্ত্রিত্বই নয়, রাজনীতিও ছেড়ে দেবেন তিনি। মনমোহনের নির্দেশে কার্যত জুনের গোড়া থেকেই তদন্ত শুরু করে দেয় সিবিআই।
কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য, এটা ঠিকই যে অভিযোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রতিক্রিয়া জানানোয় কেজরিওয়ালরা মুখ খোলার সুবিধা পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তার পরে দুর্নীতি-তদন্তে প্রধানমন্ত্রীর এই সক্রিয়তা অণ্ণা শিবিরের পালের বাতাস অনেকটাই কেড়ে নিয়েছে। আবার প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপে বিজেপি-ও কিছুটা বেকায়দায় পড়ল। কারণ মওকা বুঝে বিজেপিও অণ্ণাদের অভিযোগে সুর মিলিয়েছিল।
সরকারের শরিক তৃণমূলের সাংসদ তথা সংসদের কয়লা ও খনি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করছি না। তবে কোথাও গরমিল রয়েছে কি না সিবিআই তদন্ত করে দেখুক।” স্থায়ী কমিটি ২০০৯-১০ সালে প্রস্তাব দিয়েছিল, কোল ইন্ডিয়া যে ১৩৮টি খনিকে চিহ্নিত করে ফেরত চেয়েছিল, সেগুলি তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক। কয়লা মন্ত্রক সেই প্রস্তাব মেনেও নিয়েছে বলে কল্যাণবাবু জানিয়েছেন। |