আগেই অচৈতন্য হয়ে গিয়েছিলেন ওঁরা। আসানসোলে মহকুমা হাসপাতালে এনে জানা গেল ‘মৃত’। গরমের বলি ওঁরা, প্রাথমিক ভাবে মনে করছে ডাক্তারেরা। মঙ্গলবার ময়না-তদন্তও হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম রাজকুমার সাউ (৫৫), শ্রেয়া সাউ (৪৫), রামশঙ্কর পাঠক (৪৩), মণীন্দ্র সিংহ (৩৫), রাকেশ শর্মা (২১), পরেশ মুর্মূ (৪৫), বাগদা সোরেন (৪২), সঞ্জয় যাদব (৩৮), মদন ঘোষ (৪৭) ও দু’জন অজ্ঞাতপরিচয় বৃদ্ধার। হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আরও ১১ জনের। গরমে অসুস্থ হয়ে আরও ৫০ জন আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
বার্নপুরের ৮ নম্বর বস্তি এলাকার রাজকুমার (৫৫) পেশায় সব্জি বিক্রেতা। সালানপুরের মুক্তাই চণ্ডী এলাকায় সব্জি বিক্রি করছিলেন তিনি। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। নিয়ামতপুরের শ্রেয়াদেবী (৪৫) সকালে স্থানীয় শিব মন্দিরে বসেছিলেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। কলকাতার কলুটোলার রামশঙ্করবাবু (৪৩) জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেসে চেপে ফরিদাবাদ যাচ্ছিলেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে আসানসোল স্টেশনে নামানো হয় তাঁকে। সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান তিনি। আসানসোলের মুর্গাসোল এলাকার বাসিন্দা মণীন্দ্রবাবু (৩৫) দিলদার নগরের রাস্তা ধরে যাচ্ছিলেন। পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনিও। রাকেশ শর্মা (২১) উত্তর ২৪ পরগনা জেলার টিটাগড় থানা এলাকার বাসিন্দা। সোমবার ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেসে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। রাতে ধানবাদ স্টেশনের কাছে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। আসানসোল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে মৃত্যু হয় তাঁর। বাগদা সোরেনের (৪২) বাড়ি আসানসোলের হিরাপুর থানার বিদ্যানন্দপুরের বিনোদবাঁধ এলাকায়। তিনি পেশায় ইসিএলের কর্মী। রাস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সাঁকতোড়িয়ার ইসিএল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সঞ্জয় যাদব (৩৮) বিহারের মধুপুর এলাকার বাসিন্দা। সেখান থেকে গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেসে চেপে হাওড়া যাচ্ছিলেন তিনি। ট্রেনেই চিত্তরঞ্জন স্টেশনে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। আসানসোল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাঁকে। পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। বরাকরের দুনগিরি এলাকার বাসিন্দা মদন ঘোষ (৪৭)। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে বরাকর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আসানসোলের কালিপাহাড়ি এলাকায় ২ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে ও আসানসোল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন দুই বৃদ্ধা। আসানসোল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদের মৃত ঘোষণা করা হয়। |