রবিবার রাতে ঝড়ে বিপর্যস্ত হয় ডুয়ার্সে শামুকতলা ও কালচিনির বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ঘর চাপা পড়ে শামুকতলায় এক মহিলা জখম হয়েছেন। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই মহিলার নাম রীনা বসুমাতা। এ দিনের ঝড়ে অন্তত আড়াইশো কাঁচা বাড়ি ভেঙে যায়। গাছ ভেঙে বিপর্যস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ ও ফোন পরিষেবা। বিঘ্ন ঘটে ট্রেন চলাচলে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের কর্মাশিয়াল ম্যানেজার অলোকানন্দ সরকার বলেন, “দমনপুর এলাকায় লাইনের উপরে গাছ ভেঙে পড়ায় প্রায় আড়াই ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। রেল কর্মীরা লাইন থেকে গাছ কেটে সরানোর পরে সোমবার সকাল সোয়া ৮টা নাগাদ ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ দিন শিলিগুড়ি গামী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ও মহানন্দা এক্সপ্রেস সহ অন্য ট্রেন নির্ধারিত সময়ে চালানো সম্ভব হয়নি।” বাসিন্দারা জানান, রবিবার গভীর রাতে ঘুর্ণিঝড়ে শামুকতলা থানার কদমপুর, তালেশ্বরগুড়ি, বড়পুকুরিয়া, পশ্চিম চেপানি এলাকা বিধ্বস্ত হয়। বিস্তীর্ণ এলাকায় কাঁচা বাড়ির চাল উড়ে যায়। ভেঙে পড়ে প্রচুর গাছ। লন্ডভন্ড হয় সুপারি ও বাঁশ বাগান। নষ্ট হয় বিঘার পর বিঘা কলা বাগান। গাছের ডাল ভেঙে তার ছিড়ে বিপর্যস্ত হয় বিদ্যুৎ ও টেলিফোন পরিষেবা। তালেশ্বরগুড়ি গ্রামে ঘর চাপা পড়ে জখম হয়েছেন রীনা দেবী। তাঁর ঘর দুমড়ে গিয়েছে। আলিপুরদুয়ার-২ বিডিও সৌমেন মাইতি বলেন, “রবিবার রাতের ঘুর্ণিঝড়ে সুপারি ও কলা চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ ও টেলিফোন পরিষেবা পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়েছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।” লাইনের উপরে গাছ ভেঙে পড়ায় ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সোমবার ভোরে আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে শিলিগুড়িগামী মালগাড়ি বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের দমনপুরে আটকে থাকে। |