মাটিগাড়া থানা এলাকায় ডাকাতির তদন্তে গড়িমসি হচ্ছে অভিযোগ পেয়ে দার্জিলিঙের পুলিশ সুপারকে ‘উদ্যোগী হওয়া’র নির্দেশ দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। সোমবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ লাগোয়া থিকনিকাটা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। এ দিন গৌতমবাবু উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজে একটি অনুষ্ঠানে গেলে সেখানে গিয়ে মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানান স্থানীয় বাসিন্দা জ্যোৎস্না মজুমদার, সপ্তদীপা ঘোষদের মতো একদল মহিলা। অভিযোগ, গত ২৮ মে রাতে এলাকায় দুটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আগেও একাধিক বার চুরি ডাকাতি হয়েছে। কোনও ঘটনারই কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। অভিযুক্তদের কেউ ধরাও পড়েনি। আতঙ্কে দিন কাটছে বাসিন্দাদের। সন্ধ্যার পর বাড়ির বাইরে বার হতে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। রাতে দেড়টা ২ টা নাগাদ বিদ্যুৎ সরবরাহ কেউ বা কারা বন্ধ করে দিচ্ছে। অভিযোগ শুনে মন্ত্রী নিজেই এলাকায় যান। সেখানেও বাসিন্দারা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁদের সামনে দাঁড়িয়েই মোবাইল ফোন থেকে জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। ফোনেই মাটিগাড়া থানার পুলিশ কর্তাদের কাজকর্ম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী পুলিশ সুপার কুনাল অগ্রবালকে বলেন, “এখানে একাধিক চুরি ডাকাতি ঘটছে। আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। অথচ পুলিশ ঠিক মতো কাজই করছে না। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখুন। ডিএসপি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে এলাকায় পাঠান। প্রয়োজনে আপনিও ঘুরে দেখে যান। নিয়মিত পুলিশি টহলের ব্যবস্থা করুন।” পুলিশ সুপার বলেন, “মন্ত্রী টেলিফোন করেছিলেন। তাঁর নির্দেশ মতো প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নিতে শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছি। আমি নিজেও বিষয়টি দেখছি।” বাসিন্দাদের একাংশ একের পর এক অভিযোগ জানাতে থাকলে তাদের আশ্বস্ত করেন মন্ত্রী। গৌতমবাবু বলেন, “এসজেডিএ’র মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিককে ফোন করে এলাকার সমস্ত পথবাতি যাতে ঠিকমতো জ্বলে তা দেখতে বলেছি। মহকুমাশাসককেও বাসিন্দাদের সমস্যা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” এলাকার বাসিন্দা মঞ্জু হোসেন, দিবাকর সরকার, মৌমিতা কররা অভিযোগ করেন, গত ৮ মাসে এলাকায় ১৮ টি চুরি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অথচ পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে রয়েছে। মৌমিতা দেবী বলেন, “এলাকার গলি রাস্তাগুলি কাঁচা। ঝোপ জঙ্গলে ভর্তি। সন্ধ্যার পর কেউ ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে থাকলেও বোঝার উপায় নেই। আতঙ্কে আমাদের দিন কাটছে। মন্ত্রী যখন আশ্বাস দিলেন, দেখা যাক কী হয়।” |