পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে শিল্প ও সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানে আগ্রহী হাঙ্গেরি।
কলকাতায় এসে সোমবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের শিল্প ও পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের ওই আগ্রহের কথা জানিয়ে গিয়েছেন ভারতে হাঙ্গেরির রাষ্ট্রদূত জানোস তেরেন্যি। অটো-হাবে বিনিয়োগের জন্য নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়ে হাঙ্গেরিকে শীঘ্রই চিঠি দেবেন শিল্পমন্ত্রী পার্থবাবু। প্রসঙ্গত, যে হাঙ্গেরির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এ দিন বিধানসভার স্পিকার ও পরিষদীয় মন্ত্রীর ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ হয়েছে, সেই দেশের নামই একটি মার্কিন পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি উল্লেখ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ ছিল, মার্ক্সবাদী ও মাওবাদীরা মিলে তাঁকে খুন করার ষড়যন্ত্র করছে এবং তাতে বাইরে থেকে মদত দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া, ভেনেজুয়েলা ও হাঙ্গেরি।
পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে হাঙ্গেরির সম্পর্ক যে বহু দিনের, সেই কথাই এ দিন উঠে এসেছে তেরেন্যির সফরে। স্পিকার বিমানবাবু, পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থবাবু, যুবকল্যাণমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সরকারি মুখ্য সচেতক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়দের সঙ্গে আলোচনার পরে বিধানসভা ভবন ঘুরে দেখেন তেরেন্যি। পরে তিনি বলেন, “এ রাজ্যের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং শিল্প-যোগাযোগে আমরা আগ্রহী। অটো-মোবাইল, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পশুপালনের মতো বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে আদানপ্রদানের সম্ভাবনা
রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গকে আমরা প্রস্তাব পাঠাতে বলেছি।”
প্রসঙ্গত, হাঙ্গেরির তৈরি বাস ও ট্রাক গোটা ইউরোপে চলে বলে তেরেন্যি জানান।
স্পিকার বিমানবাবু জানান, আগামী নভেম্বরে হাঙ্গেরিয়ান পার্লামেন্টের স্পিকারের ভারত সফরের কথা। তখন কলকাতাতেও আসতে পারেন তিনি। বিমানবাবু বলেন, “ওঁরা সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন চাইছেন। পুরনো যোগসূত্রের কারণে পশ্চিমবঙ্গের প্রতি তাঁদের দুর্বলতা রয়েছে। নতুন সরকারের আমলে উন্নয়নে কেমন গতি এসেছে, তা তাঁরা বুঝে গেলেন।” আর পার্থবাবুর বক্তব্য, “অটো-হাবের বিষয়ে প্রস্তাব দিয়ে ওঁদের চিঠি লিখব। আগামী দিনে আরও আদানপ্রদান বাড়বে।” |