|
|
|
|
মেয়েদের সেরা ঝাড়গ্রামের সুস্মিতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
ইচ্ছেটা একটু অন্য রকম। উচ্চ মাধ্যমিকের কৃতী ছাত্রছাত্রীরা সাধরণ ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে। এ বারের উচ্চ মাধ্যমিকে মেয়েদের সেরা ঝাড়গ্রামের সুস্মিতা হালদার অবশ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষাই দেয়নি। আইনজীবী হতে চায় সে। ঠাকুরদা আইনজীবী ফণীন্দ্রনাথ হালদারই এ ক্ষেত্রে সুস্মিতার অনুপ্রেরণা। কৃতী এই ছাত্রীর কথায়, “ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ায় আমার ঝোঁক নেই। আমি আইন নিয়েই পড়তে চাই। আইনজীবী হয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই।”
ঝাড়গ্রাম শহরের শ্রীরামকৃষ্ণ সারদাপীঠ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী সুস্মিতার প্রাপ্ত নম্বর ৪৭৪। এত ভাল ফল কী আশা করেছিলে? সুস্মিতার জবাব, “সত্যি বলতে এতটা ভাল ফল হবে বলে আশা করিনি। পরীক্ষা ভাল হয়েছিল। জানতাম ৯০ শতাংশের উপর নম্বর পাব। কিন্তু ৪৭৪ পাব ভাবিনি।” ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবায় বাড়ি সুস্মিতাদের। বাবা নারায়ণ হালদার পুরুলিয়া জেলা হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। মা অনুপমাদেবী সংসারের পাশাপাশি একটি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির দায়িত্ব সামলান। মেয়ের কৃতিত্বে খুশি অনুপমাদেবী বলেন, “ও নিজের চেষ্টাতেই এই ফল করেছে।”
সে ভাবে ঘড়ি ধরে কখনও পড়তে বসেনি সুস্মিতা। সে বলে, “এই সময়টায় পড়তেই হবে, এমন নিয়ম ছিল না। তবে পড়ার সময় পড়েছি। সব সময় শিক্ষিক - শিক্ষিকাদের সাহায্য পেয়েছি।” নাচ শিখেছে। অবসরে সঙ্গী বই। ভাল লাগে সত্যজিৎ রায়, সুচিত্রা ভট্টাচার্যের লেখা। ক্রিকেটেও আগ্রহ রয়েছে। আইপিএলের প্রায় সব খেলাই দেখেছে সুস্মিতা। কৃতী এই ছাত্রীর প্রাথমিকের পড়াশোনা ঝাড়গ্রাম শহরের শুখময় শিশুতীর্থে। পঞ্চম শ্রেণিতে সে ভর্তি হয় শ্রীরামকৃষ্ণ সারদাপীঠে। ছোট থেকে মেধাবী। মাধ্যমিকে ৮৭ .৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন।
সোমবার সকালে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর থেকেই সুস্মিতাদের বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করেন পরিজন, পরিচিতরা। সকলেই শুভেচ্ছা জানান। টিভিতে সুস্মিতার মেয়েদের মধ্যে প্রথম হওয়ার খবর জেনেই তার বাড়িতে যান স্কুলের সহ -শিক্ষিকা তন্দ্রা সেনগুপ্ত। তাঁর কথায়, “সুস্মিতা আমাদের গর্ব।” |
|
|
|
|
|