|
|
|
|
দাসপুরে প্রচার |
মাঠ ভরেনি, সভায় অপেক্ষা সুব্রত বক্সীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
পুরসভার ভোটগ্রহণ মিটতেই দাসপুর বিধানসভার উপ-নিবার্চনের জন্য পুরোদমে প্রচারে নেমেছে তৃণমূল। কিন্তু দলের রাজ্য নেতৃত্বের মিটিংয়েও লোক হচ্ছে কই! রবিবারই তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী দলীয় প্রার্থী মমতা ভুঁইয়ার হয়ে প্রচারের জন্য দাসপুরে আসেন। সোনাখালিতে বিকাল সাড়ে ৫টা ও সুলতাননগরে সন্ধ্যা ৭টায় জনসভা করেন তিনি। কিন্তু তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির সভায় মেরেকেটে শ’চারেক দলীয় কর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে সোনাখালিতে বেশ কিছুক্ষণ লোকজনের জন্য অপেক্ষাও করতে হয় সুব্রতবাবুকে। তৃণমূলের অন্দরের খবর, বিকাল ৪টেয় নির্ধারিত সময়েই সভাস্থলে পৌঁছেছিলেন সুব্রতবাবু। কিন্তু তখনও কোনও লোক না আসায় সুব্রতবাবুকে এক ঘণ্টারও বেশি সোনাখালির দলীয় অফিসে অপেক্ষা করতে হয়। পরে শ’তিনেক দলীয় কর্মী-সমর্থক জড়ো হওয়ায় সভা শুরু হয়। যারপরনাই ক্ষুব্ধ রাজ্য সভাপতি দলীয় কর্মীদের কাছে এর কারণও জানতে চান বলে দলীয় সূত্রে খবর। প্রচণ্ড গরমের জন্যই লোক কম হয়েছে বলে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি। দাসপুর ১ ব্লক সভাপতি সুকুমার পাত্র এবং দাসপুর ২ ব্লক সভাপতি তপন দত্তের জবাব, “গরমের জন্যই লোক কম হয়েছে। সোনাখালিতে লোক কম হলেও সুলতাননগরে সভার শেষের দিকে ভালই ভিড় হয়েছিল। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সুনীল অধিকারী বলেন, “এক বছরেই মানুষ বুঝেছেন, কারা মানুষের পাশে থাকে। এক বছরে দাসপুরে কী-ই বা উন্নয়ন হয়েছে? মানুষ তো সবই লক্ষ্য করছেন। তাই ওদের রাজ্য সভাপতির সভাতেও লোক হয়নি।” গরমের যুক্তি যে পুরোটা খাটে না আড়ালে সে কথা মেনে নিচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারাও। তৃণমূল সূত্রের খবর, প্রয়াত বিধায়ক অজিত ভুঁইয়ার স্ত্রী মমতাদেবীকে প্রার্থী হিসাবে এখনও মানতে পারেনি এলাকার নেতা-কর্মীদের একাংশ। এমনিতে দাসপুরে গোষ্ঠীকোন্দল বহু দিনের। কোন্দল মেটাতে গিয়ে কর্মীদের ক্ষোভের মুখেও পড়তে হচ্ছে নেতাদের। তাতে যে বরফ গলেনি, রবিবার প্রচারে এসে তা ভাল ভাবেই টের পেলেন খোদ তৃণমূল রাজ্য সভাপতি। |
|
|
|
|
|