|
|
|
|
জেলা ক্রীড়া সংস্থা ভেঙে দিল রাজ্য সরকার |
সংবাদসংস্থা • প্যারিস |
ক্রিকেট বোর্ডের কাজে হস্তক্ষেপ করতে গিয়েও পিছিয়ে এসেছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী। স্বশাসিত ক্রীড়া সংস্থার আইন তাঁর পক্ষে নয় জেনে। ওই বিতর্কের মাঝেই ‘ক্রীড়া উন্নয়নে পারফরম্যান্স সন্তোষজনক নয়’ বলে বাংলার সব জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা ভেঙে দিল রাজ্য সরকার।
প্রতিটি জেলায় নতুন ক্রীড়া সংস্থা তৈরির দায়িত্ব পাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসক। যত দিন না নতুন সংস্থা তৈরি হচ্ছে, তত দিন কাজ দেখবেন জেলাশাসক।
মাস কয়েক আগে এই ঘোষণা করেও শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে গিয়েছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে ভেঙে দেওয়ার অধিকার সরকারের রয়েছে কি না, এই প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেক ক্রীড়া কর্তা। কেননা সব ক্রীড়া সংস্থাই স্বশাসিত আই এফ এ, সি এ বি-র মতো। জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্তারা বলেছিলেন, “এটা বেআইনি। সরকার এ ভাবে জেলা ক্রীড়া সংস্থা ভাঙতে পারে না।”
তখন সরকারি তরফে বলা হয়, ভাঙা হচ্ছে জেলার স্কুল ক্রীড়া কমিটি। তবে সোমবার কিন্তু রাজ্যপালের তরফে নির্দেশ নামা বের করে দেওয়া হয়েছে। সব জেলাশাসক, মহকুমা শাসকদের রাজ্যপালের এই নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন নির্দেশে বলা হয়েছে, এই সংস্থাগুলোতে নতুন মুখ আনা জরুরি। যাতে খেলাধুলোর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা যায়।
সি এ বি নির্বাচনের মাস খানেক আগে এ ভাবে জেলা ক্রীড়া সংস্থা ভাঙায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কেননা নির্বাচনে ১৯ জন ভোটার জেলার। ময়দানের অনেক কর্তাই এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সি এ বি নির্বাচনের যোগসূত্র দেখছেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার অনেক কর্তা আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সরকারি তরফে অবশ্য এর সঙ্গে সি এ বি নির্বাচনের যোগসূত্র উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
জেলায় জেলায় ক্রীড়া সংস্থার পাশাপাশি একটি জেলা ক্রীড়া পর্ষদ রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্য ক্রীড়া পর্ষদের নতুন কমিটির সদস্যরা ঘোরাঘুরি করে দেখেছেন, জেলা ক্রীড়া পর্ষদেও কিছু কাজ হয় না। সেগুলোও ভেঙে ফেলা হতে পারে। গত এক বছরে নানা কমিটি হয়েছে রাজ্য ক্রীড়ায়। কিন্তু সামগ্রিক কাজ কিছু হয়নি। টেবল টেনিস, দাবা, সাঁতার, বক্সিংয়ে নানা গোষ্ঠী কাজ করছে। মদন মিত্র ঘোষণা করেছিলেন, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক কমিটি সব সংস্থাকে এক করার উদ্যোগ নেবেন। সেই কাজ শুরুই হয়নি। টেবল টেনিসে একটি রাজ্য সংস্থার সভাপতি সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। অন্য দুটিতে জড়িত ছিলেন সিপিএমের রবীন দেব, অশোক ভট্টাচার্য। তবু তিনটি সংস্থা এক হতে পারেনি। রাজ্য ক্রীড়া দফতরের কর্তারাও কোনও বাড়তি উদ্যোগ নিতে পারেননি। এ দিকে রাজ্য ক্রীড়া দফতর ১৯ জুন বাংলার সব খেলায় সব পদকজয়ীদের সংবর্ধনা দিতে চায়। বাংলা অলিম্পিক সংস্থা ৩০ জুন অলিম্পিক দৌড়ের আয়োজন করছে রবীন্দ্র সরোবর থেকে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম পর্যন্ত। |
|
|
|
|
|