|
|
|
|
ইউরো কাপ: বাকি আর তিন দিন |
আলোর আশায় লিপ্পি,
সতর্ক ত্রাপাতোনি
নিজস্ব প্রতিবেদন |
|
|
ইতালি ফুটবলে অন্ধকারের পিছনেই আলোর সন্ধান দেখতে পাচ্ছেন মার্সেলো লিপ্পি। ছয় বছর আগে ইতালিকে এমনই ডামাডোল অবস্থার মধ্যে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ। “সে বার আর এ বারের মধ্যে কিন্তু অনেক মিল খুঁজে পাচ্ছি আমি,” বলে লিপ্পির পরামর্শ এ বার সিজার প্রানদেলির টিমকে, “মাঠে আর মাঠের বাইরেও মাথাটা শুধু ঠান্ডা রেখো। দেশে কী চলছে ভেবে এত বড় টুর্নামেন্ট খেলো না।”
ইতালীয় ফুটবল যে মরসুমেই বিতর্কে জর্জরিত হয়েছে, সে বছরই ফুটবলের বড় মঞ্চে নেমে ট্রফি তুলে নিয়েছে আজুরি। বিরাশি এবং দু’হাজার ছয়দু’দুটো বিশ্বকাপের রং নীল হয়ে উঠেছিল, যখন নানান কেলেঙ্কারিতে টলমল ছিল ইতালির ঘরোয়া ফুটবল।
ইউরো ২০১২-র আগেও অনুরূপ পরিস্থিতি। সিরি আ-তে জুভেন্তাসের পর্যন্ত নাম আবার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। একজন ফুটবলার ইতালির ইউরো স্কোয়াড থেকে বাদই পড়েছেন ম্যাচ গড়াপেটায় অভিযুক্ত থাকার জেরে।
গ্রুপ সি-তে ইতালি আগামী রবিবার প্রথম ম্যাচেই পড়তে চলেছে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন এবং ইউরোপ সেরা স্পেনের সামনে। তার পরে টুর্নামেন্টের অন্যতম উদ্যোক্তা দেশ ক্রোয়েশিয়া আর আয়ার্ল্যান্ডের কঠিন চ্যালেঞ্জও সামলাতে হবে আজুরিদের। “তবে আমার এখনও মনে আছে দু’হাজার ছয়ের বিশ্বকাপ শুরুর এক সপ্তাহ আগেও ইতালীয় ফুটবল মহলের অবস্থা মোটেও ভাল ছিল না। কিন্তু আমার দল এক বার জার্মানির বিমানে উঠতেই সব বিতর্ক আর কেলেঙ্কারি ভুলে পুরো ফোকাস্ড হয়ে গিয়েছিল। কঠিন ট্রেনিং, ম্যাচ জেতা আর কাপ নিয়ে দেশে ফেরার বাইরে আর কিছু ভাবেনি। আশা করি এ বারও সে রকম মনোভাবই থাকবে ইতালি টিমের,” বলেছেন লিপ্পি।
প্রাক্তন কোচের কথারই প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে বর্তমান কোচের মুখে। তবে সেটা মুখ্যত ইতালির শেষ কয়েকটা ম্যাচের পারফরম্যান্স দেখে। প্রাক ইউরোয় নিজেদের গ্রুপের ১০টা ম্যাচে মাত্র দু’গোল খাওয়া ইতালি পোল্যান্ড পৌঁছনোর আগে শেষ তিনটে প্রস্তুতি ম্যাচেই হেরেছে। শেষ ম্যাচে রাশিয়ার কাছে তিন গোল খেয়েছে। ২৬ বছর পর টানা তিন ম্যাচে হার! তা সত্ত্বেও কোচ প্রানদেলি বলছেন, “আমাদের দুঃস্বপ্নের অধ্যায় আশা করি শেষ হয়ে গেছে।” সঙ্গে অবশ্য যোগ করেছেন, “আমাদের প্রচুর ভোগান্তি গেছে। আমরা অসংখ্য ভুলভ্রান্তি করেছি। তবে এটাও আশা করছি আমাদের যত ভুলভাল সব কিছু ইউরোতে নামার আগেই শেষ হয়ে গেছে।” দলের এক নম্বর ডিফেন্ডার ক্রিশ্চিয়ান মাজ্জো-ও আশাবাদী, “ঘরোয়া ফুটবল কেলেঙ্কারির জেরে ট্রেনিং পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বিশ্বাস করি, এখানেই সব শেষ। ইউরোয় অ ন্য ইতালিকে দেখা যাবে।” ইতালি বলেই প্রতিপক্ষ কোচও সতর্ক। তিনি--জিওভানি ত্রাপাতোনি স্বয়ং ইতালীয়। আয়ার্ল্যান্ডকে এ বার কোচিং দিচ্ছেন বিশ্ব ফুটবলের বিখ্যাত ‘ট্র্যাপ’। নিজের টিমকে বলেছেন, “ইতালির ফাঁদে পা দিও না। পরপর তিনটে হেরেছে মানেই খারাপ টিম ভুলেও ভেবো না। আমরা যখন ওদের বিরুদ্ধে খেলব, অন্য ইতালিকে দেখব।”
|
|
সম্ভাব্য প্রথম এগারো
গোলকিপার: বুফোঁ (জুভেন্তাস)
ডিফেন্ডার: মাজ্জো (নাপোলি), বালজারেত্তি (পালেরমো), বার্জাগলি ও বোনুচ্চি (জুভেন্তাস)
মিডফিল্ডার: দে রোসি (রোমা), মারচিসিও ও পির্লো (জুভেন্তাস), মোন্তোলিভো (ফিওরেন্তিনা),
ফরোয়ার্ড:বালোতেলি (ম্যাঞ্চেস্টার সিটি), কাসানো (এসি মিলান)
বেঞ্চে থাকবেন যাঁরা
গোলকিপার:সিরিগু (প্যারিস সাঁ জাঁ), দে সাঙ্কতিস (নাপোলি)
ডিফেন্ডার: চিয়েলিনি (জুভেন্তাস), ওগবোনা (তোরিনো), আবাতে (এসি মিলান)
মিডফিল্ডার: মোত্তা (প্যারিস সাঁ জাঁ), জিয়াচেরিনি (জুভেন্তাস), দিয়ামান্তি (বোলোনা), নোসেরিনো (এসি মিলান)
ফরোয়ার্ড: দি নাতালে (উদিনেসি), বোরিনি (রোমা), জিওভিঙ্কো (পার্মা) |
|
|
|
|
|