|
|
|
|
উত্তর সিকিমে ধস, দুর্ভোগ পর্যটকদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
দুর্যোগ পিছু ছাড়ছে না সিকিমের। পূর্ব সিকিমের পর এ বার উত্তর সিকিম। রবিবার রাত থেকে একাধিক ধস নেমেছে। লোহার সেতু ধসে গ্যাংটক থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে উত্তর সিকিম। গ্যাংটক থেকে মঙ্গন হয়ে লাচেন এবং লাচুংয়ের রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার বিকাল ৩টে নাগাদ পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। তবে চুংথাং থেকে লাচেন যাওয়ার রাস্তা বন্ধ রয়েছে। আজ, মঙ্গলবারের মধ্যে ওই রাস্তা খোলার চেষ্টা চলছে বলে সিকিম প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। সিকিমের পূর্ত দফতর, বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের পাশাপাশি সেনা বাহিনীর সাহায্যে রাস্তা মেরামতির কাজ চলছে। রাংরাং এলাকায় সেতুটি সংস্কার করে সেটিকে যান চলাচলের উপযুক্ত করা হয়েছে। তবে দিনভর সিকিম প্রশাসনের তরফে উত্তর সিকিমে যাওয়ার কোনও ‘পারমিট’ ইস্যু করা হয়নি।
উত্তর সিকিমের অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রভাকর বর্মা বলেন, “উত্তর সিকিমের ওই রাস্তায় ছোট ছোট অনেক জায়গায় ধসের জেরে রাস্তা বন্ধ ছিল। এ দিন বিকালের পর মূল রাস্তাটি খুললেও লাচেনের রাস্তা বন্ধ। চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার।” উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে পূর্ব সিকিমের গ্যাংটক থেকে ছাঙ্গু, নাথুলা যাওয়ার রাস্তায় ধসে নেমে প্রায় ২৪ ঘণ্টা জওহরলাল নেহরু রোড বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৪ হাজার পর্যটককে ১৫ মাইল এলাকায় সেনা ছাউনিতে রাত কাটাতে হয়।
গ্যাংটক থেকে মঙ্গন হয়ে চুংথাং অবধি উত্তর সিকিমের হাইওয়ে রয়েছে। তার পরে একটি রাস্তা লাচেন হয়ে গুরুদোংমার লেকের দিকে চলে যায়। আর একটি রাস্তা লাচুং হয়ে ইয়ুমথাং অবধি যায়। প্রতিটি রাস্তাতেই রবিবার রাতে ধস নামে। এর মধ্যে বড় মাপের দু’টি ধস নামে চুংথাং আর মঙ্গনের মধ্যে। এই এলাকারই রাংরাং এলাকায় সেনা বাহিনীর তৈরি ছোট একটি বেইলি ব্রিজ মাটি ধসে যাওয়ায় ভেঙে পড়ে। এতেই পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে উত্তর সিকিম। রাজ্যের ট্রাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (ট্যাস)-এর সভাপতি লুকেন্দ্র রসৌলি বলেন, “বছরের এই সময় মাঝেমধ্যেই ধস নামে। লাচেন, লাচুং এলাকায় তাই হয়েছে। প্রশাসন, সরকার তৎপর রয়েছে। সর্বত্র রাস্তা যত দ্রুত খোলা যায় তা সব সময় দেখা হচ্ছে। পর্যটকেরা সুরক্ষিত আছেন।” গরম পড়তেই দার্জিলিং পাহাড়ের পাশাপাশি সিকিম জুড়ে প্রতি বছরই পর্যটকদের ঢল নামে। এ বার প্রচুর পর্যটক সিকিমে রয়েছেন। ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘বিকালের পর রাস্তা খুলতেই পর্যটকেরা গ্যাংটকে নেমে আসা শুরু করেছেন। আপাতত লাচেন ছাড়া সব জায়গায় রাস্তা খোলা রয়েছে।” সিকিম প্রশাসনের কয়েকজন আধিকারিক জানান, গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর উত্তর সিকিমের মঙ্গনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ভূমিকম্পের পর পাহাড়ের বহু এলাকায় ফাটল দেখা দিয়েছে। একটু বৃষ্টিতে ওই এলাকাগুলিতে ধস নামছে। ওই রাতে ধসের জেরে প্রায় চারশো পর্যটক লাচেন, লাচুংয়ে আটকে পড়েন। ৬৫টি গাড়ি আটকে যায়। |
|
|
|
|
|