হাটিয়া
জোট নয়, শরিকি দ্বন্দ্বে বিভক্ত শাসক-বিরোধী ভোট
ঝাড়খণ্ডে রাজ্যসভার নির্বাচনে জোট সরকারের শরিকি লড়াইয়ের ক্ষত এ বার আরও গভীর হয়ে উঠছে হাটিয়া বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনকে ঘিরে। রাজ্যসভার ভোটের লড়াইয়ে রাজ্যের শাসক জোটের প্রধান বিজেপির বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হয়েছিল দুই শরিক ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ও আজসু।
এ বার হাটিয়াতেও একই ভাবে বিজেপি-কে লড়তে হচ্ছে জেএমএম-আজসু জোটপ্রার্থীকে। কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যুতে খালি হওয়া এই আসনটিতে স্বাভাবিক ভাবেই রয়েছে শক্তিশালী কংগ্রেস প্রাথর্ীর্। তবে সেই বিরোধী শিবিরও স্বস্তিতে নেই। কারণ গত নির্বাচনে কংগ্রেসের জোট শরিক ছিল বাবুলাল মরান্ডির ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা (জেভিএম)। এ বার দু’পক্ষের দূরত্ব বেড়েছে। ভেঙেছে সেই সমঝোতা। সুতরাং লড়াইয়ে নেমেছে জেভিএম-ও। এই চার প্রার্থীর বাইরেও ২৫ জন নির্দল প্রার্থী সামিল হয়েছেন এই উপ-নির্বাচনে।
গত বিধানসভা ভোটে হাটিয়া কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী রামজীলাল সারদাকে ২৫ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী গোপাল সারনাথ সহদেও। বছর দুয়েক আগে গোপালবাবুর মৃত্যুতে আসনটি খালি হয়। কিন্তু বিজেপি পুনর্গণনার দাবিতে মামলা করায় দীর্ঘ দিন ধরেই থমকে ছিল উপ-নির্বাচন প্রক্রিয়া। কয়েক মাস আগে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে পুনর্গণনা হয়। আগের ফলে হেরফের হয়নি। এর পরেই নির্বাচন কমিশন হাটিয়া আসনের উপ-নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে। ১২ জুন ভোটগ্রহণ। গণনা ১৫ জুন।
আসন দখলের লড়াইয়ে ২৯ জন প্রার্থী থাকলেও লড়াই মূলত কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে। ভোটের বাজারে হাটিয়া কংগ্রেসের প্রচারের মূল কাণ্ডারী কেন্দ্রীয় পযর্টনমন্ত্রী সুবোধকান্ত সহায়। এ বার হাটিয়ায় কংগ্রেস প্রার্থী সুনীলকুমার সহায়, সুবোধকান্তের সহোদর। কংগ্রেসের প্রচারের মূল সুর, রাজ্যের ‘জোট সরকারের সার্বিক ব্যর্থতা’। অনুন্নয়নের সঙ্গে আইন শৃঙ্খলার অবনতির কথাই প্রাধান্য পাচ্ছে কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারে। গত বারের প্রার্থী রামজীলাল সারদাকে সামনে রেখে বিজেপি-র প্রচারের মূল সুর: কেন্দ্রের দুর্নীতি এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। সাম্প্রতিক পেট্রোলের দাম বৃদ্ধির ঘটনাও প্রচারের কাজে লাগাতে তৎপর বিজেপি। হাটিয়ায় দলের সাংগঠনিক শক্তির বিচারে কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য নেই। তুলনায় পিছিয়ে জেএমএম, আজসু ও জেভিএম। ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক কুশীলবদের পর্যালোচনা: জেএমএম-এর মদত নিয়ে আজসু বা একক ভাবে জেভিএম ভোটের লড়াইয়ে সাফল্য পাওয়ার জায়গায় এই মুহূর্তে নেই ঠিকই। কিন্তু ‘নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ’ করার মতো ক্ষমতা অবশ্যই তাদের রয়েছে। বিশেষত প্রায় ২২% বেশি আদিবাসী ভোটার যেখানে রয়েছে, সে ক্ষেত্রে আদিবাসী প্রভাবিত রাজনৈতিক সংগঠনগুলির ভূমিকাকে খাটো করে দেখার কোনও যুক্তি নেই। একই সঙ্গে নির্বাচকমণ্ডলীর ১৮% বাঙালি এবং ৮% উর্দুভাষী ভোটারও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.