|
|
|
|
বিদেশি বিনিয়োগে বৈঠক মন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে পর্যাপ্ত বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে জানালেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। সোমবার সকালে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে কলকাতার আমেরিকান সেন্টারের ডিরেক্টর জেফ্রি রেনেউ-র সঙ্গে এক বৈঠকের পর এ কথা জানান মন্ত্রী। বৈঠকে আমেরিকান সেন্টারের ওই অধিকর্তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা টিঙ্কু রায়। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বৈঠকে উত্তরবঙ্গের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি, উন্নয়নের কাজের, পরিকঠামো, আধিবাসী অধ্যুষিত এলাকার অবস্থা নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মত মার্কিন কনসাল জেনারেলের সঙ্গে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে বলে ঠিক হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী বলেন, “মার্কিন কনসাল জেনারেলের আসার কথা ছিল। বিশেষ কাজ পড়ে যাওয়ায় তিনি আসতে পারেননি। তিনি একটি চিঠি দিয়ে আমেরিকান সেন্টারের ডিরেক্টর, আধিকারিকদের পাঠান। কোনও সুনির্দিষ্ট বিষয় নয়, সামগ্রিকভাবে উত্তরবঙ্গ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। পরিকাঠামোগত উন্নয়নে বিনিয়োগ প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত বিষয়টি নিয়ে পরে দু-তরফের সরকারি স্তরে সঙ্গে কথা হবে।” মন্ত্রী জানান, উত্তরবঙ্গে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (এডিবি)-এর সাহায্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় কাজ চলছে। একটি ভুটান সীমান্তের জয়গাঁ থেকে বাংলাদেশের চ্যাংরাবান্ধা অবধি ও আরেকটি নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কি থেকে বাংলাদেশের ফুলবাড়ি অবধি। এই ধরণের আরও প্রকল্প ভবিষ্যতে আরও নিতে হবে বলে গৌতমবাবু জানান। তাঁর কথায়, “সে জন্যই পর্যাপ্ত বিদেশি সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে।” এদিন মার্কিন প্রতিনিধিরা আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলির পরিকাঠামোর অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইছিলেন। পাশাপাশি, উন্নয়নের নানা প্রকল্প, পরিবহণ, পর্যটন, স্বাস্থ্য, পানীয় জল এবং বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রীর কথায়, “পরে বৈঠকে নির্দিষ্ট বিষয় ভিত্তিক আলোচনা হবে বলে এদিন মার্কিন প্রতিনিধিদের জানানো হয়েছে।” বৈঠকের পর আমেরিকান সেন্টারের ডিরেক্টর জেফ্রি রেনিউ বলেন, “এই অঞ্চলে প্রথম এলাম। মূলত বিভাগীয় মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকার ছিল। এলাকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শিলিগুড়ি সম্পর্কে নানা তথ্য জেনেছি। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এ দিন আমেরিকান সেন্টারের ডিরেক্টর দার্জিলিঙের রওনা হয়ে যান। একদিন দার্জিলিং থাকার পর তিনি কলকাতা ফিরে যাবেন। মার্কিন প্রশাসনের তরফে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, উত্তর পূর্বাঞ্চলের ১০ রাজ্যের দায়িত্ব আছেন জেফ্রি রেনেউ। ইন্দো-মার্কিন বন্ধুত্বের উপহার হিসাবের দুই দেশের পতাকা সংবলিত স্মারক মন্ত্রীকে উপহার দেন মার্কিন প্রতিনিধিরা। এর পরে কনফেডারশন অব ইন্ডিয়ার ইন্ডাস্ট্রিজ (সি আই আই)-র নর্থ বেঙ্গল জোনাল কাউন্সিল সদস্যদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন আমেরিকান সেন্টারের ডিরেক্টর। বৈঠকে উত্তরবঙ্গের সাম্প্রতিক কালের উন্নয়নের একটি ছবি মার্কিন প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরা হয়। সিআইআই-র তরফে কমল মিত্তল, পিকে শাহ জানান, চা, চা পযর্টন, মিরিকের কমলা, আম, পাঠ, বাঁশ, ভেষজ, ফুল-অর্কিড ক্ষেত্রে মার্কিন তথ্য প্রযুক্তি, বাজারের উন্নয়নের সাহায্য ছাড়াও বিনিয়োগের কথা প্রতিনিধিদের জানানো হয়। জেফ্রি বলেন, “চা, পর্যটন, শিক্ষা, ফুল, ফলের মত বিষয়গুলিতে আমাদের দেশে আগ্রহ রয়েছে। এ নিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে আলোচনা করা হবে।” |
|
|
|
|
|