|
|
|
|
সুদ কমার ইঙ্গিতে আশার আলো শেয়ার বাজারে |
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
দিনভর অস্থিরতা সত্ত্বেও সপ্তাহের প্রথম দিনে কিছুটা আশার আলো দেখল শেয়ার বাজার।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ কমানোর ইঙ্গিত, এবং তার জেরে শিল্প পরিস্থিতি ফের উজ্জ্বল হয়ে উঠবে, এই আশায় এ দিন এশিয়া জুড়ে শেয়ার বাজারের পতন সত্ত্বেও ২৩ পয়েন্ট বেড়েছে সেনসেক্স। প্রথমে গত পাঁচ মাসের মধ্যে সবচেয়ে নীচে নামলেও সেখান থেকে ফের মাথা তুলে দাঁড়ায় সূচক।
সোমবার চাঙ্গা ছিল টাকার বাজারও। বাজার খোলার পর থেকেই রফতানিকারীদের ডলার বিক্রির জেরে বাড়তে থাকে টাকার দাম। ফলে শুক্রবারের বাজার বন্ধের দর ৫৫.৫৪ থেকে টাকা এক লাফে বেড়ে দিনের সর্বোচ্চ দাম পৌঁছে যায় ডলারে ৫৫.২০ টাকায়। গত এক সপ্তাহে এ দিনই সবচেয়ে চাঙ্গা ছিল টাকা। কিন্তু বাজার সূত্রে খবর, এর পরেই আমদানিকারীদের ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়। বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলির শেয়ার বিক্রির চাপও টেনে নামায় টাকাকে। সোমবার তারা ৬৩৭.১৪ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার বিক্রি করেছে। বাজার বন্ধের দর প্রতি ডলারে ৫৫.৬৫ টাকা। শুক্রবারের থেকে ১১ পয়সা কম।
দিনের শুরুতে এ দিন এশিয়া জুড়ে সূচকের পতনের জেরে সেনসেক্স নেমে যায় ২০০ পয়েন্টেরও বেশি। টোকিও-র সূচক ছিল গত ২৮ বছরে সবচেয়ে নীচে। ইউরোপের বাজারেও ছিল দোলাচল। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর সুবীর গোকর্ণের মন্তব্যেই হাল ফেরে বাজারের। যদিও মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিল পূর্বাভাস দিয়েছে, এই অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশের বেশি হবে না। আগের পূর্বাভাস ৭ শতাংশ। গোকর্ণ বলেন, “প্রথমত, আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাসের থেকেও নীচে নেমে যাওয়া এবং দ্বিতীয়ত, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমা শীর্ষ ব্যাঙ্কের সুদ কমানোর জোরালো সম্ভাবনা তৈরি করবে।” উল্লেখ্য, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতির পরবর্তী পর্যালোচনা ১৮ জুন।
বিশেষজ্ঞদের মতে টাকা যতটা পড়েছে, তার থেকে দাম আর বেশি নামার সম্ভাবনা কম। ইউকো ব্যাঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার উদয় ভট্ট বলেন, “টাকা বেড়ে ৫৫-য় থিতু হতে পারে। কারণ, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক হস্তক্ষেপ করলে তেল সংস্থাগুলি বাজার থেকে ডলার কেনা বন্ধ করবে।” ফেডারেল ব্যাঙ্কের লেনদেনকারী হরি চন্দ্রমগাথানের আশা, “কাল টাকা আরও বাড়তে পারে। তা ৫৫.২০ থেকে ৫৫.৭০-র মধ্যেই ঘোরাফেরা করতে পারে।” |
|
|
|
|
|