|
|
|
|
তেল-কর কমাতে সব রাজ্যকে চিঠি অর্থমন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি পেট্রোলের দাম লিটারে দু’টাকা কমালেও তাতে মন ভরেনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর। নিজেরা দু’টাকা দাম কমানোর পরে এ বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের উপরে কর কমানোর জন্য পাল্টা চাপ তৈরি করল কেন্দ্র। আজ অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যগুলি পেট্রোলের উপর যে কর চাপায়, তা কমিয়ে আমজনতাকে আরও সুরাহা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখেছেন।
রাজ্যগুলির কাছে তাদের করের পরিমাণের অন্তত ২৫% কমানোর অনুরোধ জানিয়েছেন প্রণব। অর্থ মন্ত্রকের যুক্তি, পেট্রোলের দামের উপর শতকরা হারে কর বসানো হয়। তাই পেট্রোলের দাম বাড়লে করের পরিমাণও বাড়ে। রাজ্যগুলির রাজস্ব আয়ও বেড়ে যায়। ফলে কিছুটা কর কমালেও তাতে রাজ্যগুলির রাজস্বের ক্ষতি হবে না। প্রণববাবু জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রীদের লেখা চিঠিতে আমি জানিয়েছি, কোন রাজ্য কতখানি রাজস্ব আয় করছে এবং কেন্দ্রই বা উৎপাদন শুল্ক থেকে কতখানি রাজস্ব আয় করছে।”
অর্থমন্ত্রী অবশ্য মানছেন, তিনি চিঠি লিখেছেন বলেই সবাই কর কমিয়ে ফেলবেন এমনটা তিনি আশা করছেন না। বরং রাজ্যগুলির পাল্টা যুক্তি থাকবে। তার পরে তারা রাজি হলে আলোচনা করে একটি পদ্ধতি তৈরি করা সম্ভব। অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, তেলের দামের উপর কর বসানোর বদলে প্রতি লিটারে কর বসানোর প্রস্তাবও রয়েছে। সে ক্ষেত্রে দাম বাড়লেও করের বোঝা বাড়বে না। তবে সবটাই নির্ভর করছে মুখ্যমন্ত্রীদের উপরে। প্রণববাবু বলেন, “তাঁদের সম্মতি ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়।”
আজ কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেও পেট্রোলের দাম এক লাফে অনেকখানি বেড়ে যাওয়া নিয়ে ক্ষোভ উঠে এসেছে। প্রণববাবু নিজেই বৈঠক শেষে স্বীকার করেছেন, “কেউই এতে খুশি নন।” তাঁর ব্যাখ্যা, আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম অনেকখানি বেড়ে যাওয়াতেই পেট্রোলের দাম বাড়াতে হয়েছিল। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে দাম ব্যারেল প্রতি একশো ডলারের নীচে নেমে এসেছে। ফলে, পেট্রোলের দাম কিছুটা কমানো হয়েছে। কিন্তু ফের যদি অশোধিত তেলের দাম একটানা বাড়তে থাকে, তা হলে যে বিকল্প ব্যবস্থা প্রয়োজন, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, পুরো বোঝা আমজনতার ঘাড়ে ঠেলে দেওয়া সম্ভব নয়। আবার সরকারের পক্ষেও পুরো দায় নেওয়া অসম্ভব। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্র, রাজ্য-সহ সংশ্লিষ্ট সকলকেই কিছুটা করে স্বার্থ বিসর্জন দিতে হবে। |
|
|
|
|
|