এ বারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলে রাজ্যের মেধা তালিকায় নাম তুলতে না পারলেও বীরভূমের সার্বিক ফলাফল কিন্তু ভাল। এ বারে মেয়েদের মধ্যে কৃতিত্বের তালিকায় নাম রয়েছে রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবনের ছাত্রী অনন্যা সাহা-র। সে পেয়েছে ৪৬২ নম্বর। বিভিন্ন বিষয়ে তার প্রাপ্ত নম্বর-- বাংলা ৮৩, ইংরেজি ৮৬, অঙ্ক ৮০, পদার্থবিজ্ঞান ৯৮, রসায়ন ৯৭ ও জীবন বিজ্ঞান ৯৮। অনন্যা ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায়। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর থেকেই তার জন্য আলাদা ভাবে প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেছে। পড়াশোনার বাইরে তার ভাল লাগে গোয়েন্দা গল্প পড়তে। অন্য দিকে, ছেলেদের মধ্যে কৃতিত্বের দাবিদার বোলপুর হাইস্কুলের সন্দীপন মহান্ত। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৫১। |
বিভিন্ন বিষয়ে সে পেয়েছে বাংলা ৭৩, ইংরেজি ৯০, রসায়ন ৯৫, অঙ্ক ৯৫, জীবন বিজ্ঞান ৯০ ও পদার্থবিজ্ঞান ৯৮। ইঞ্জিনিয়ারিং বা ডাক্তারি নয়, সন্দীপন ভবিষ্যতে পড়াশোনা করতে চায় পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে। মাঝে মধ্যে গল্পের বই পড়া ছাড়া সারাক্ষণই সে ডুবে থাকতো পড়াশোনায়।
৪৫০ নম্বর পেয়েছে বোলপুর নীচুপট্টি নীরোদবরণী হাইস্কুলের সায়ক চট্টোপাধ্যায়, বোলপুর গার্লস হাইস্কুলের শাঁওলি সৌমণ্ডল। এ বার ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের সর্বোচ্চ ফল বেশ ভাল। যেমন নলহাটি গার্লস হাইস্কুলের সুস্মিতা চক্রবর্তী পেয়েছে ৪৫২, সিউড়ি কালীগতি নারী শিক্ষা নিকেতনের শ্রেয়সী মুখোপাধ্যায় পেয়েছে ৪৪৮, সাহাপুর হাইস্কুলের ইন্দ্রাণী মজুমদার পেয়েছে ৪৪১, হেতমপুর রাজস্কুলের সব্জি বিক্রেতার মেয়ে ফিরোজা ইয়াসমিন পেয়েছে ৪৪৬। সিউড়ি আরটি গার্লস হাইস্কুলের মেঘনা মণ্ডল পেয়েছে ৪৪১। ৪২৬ থেকে ৪৩২ পর্যন্ত পেয়েছে অনেক ছাত্রীই। কলাবিভাগে ৪৩৭ পেয়ে উল্লেখযোগ্য ফল করেছে বোলপুর গার্লস স্কুলের ছাত্রী পল্লবী পাল। |