|
|
|
|
|
ধর্মগুরুরা লক্ষ্য ছিলেন না, বললেন রুশদি
সংবাদসংস্থা • লন্ডন |
|
সালটা ১৯৮৮। নামের পাশে তাঁর ইতিমধ্যেই তিনটে উপন্যাস। তার মধ্যে দ্বিতীয়টা আবার বুকার পুরস্কারে সম্মানিত। ওই বছরই আত্মপ্রকাশ চতুর্থ উপন্যাস ‘স্যাটানিক ভার্সেস’-এর।
বুকারজয়ী লেখক থেকে সলমন রুশদির ‘বিতর্কিত লেখক’ হয়ে ওঠার সেই শুরু!
মুসলিমদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে, এই অভিযোগে ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয় বিভিন্ন দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে। এমন কী, ইরানের সেই সময়ের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা খোমেইনি রুশদির মৃত্যুর ফতোয়া পর্যন্ত জারি করেন। দু’দশক বাদে অবশ্য এ সব নিয়ে কিছুটা নিরুত্তাপ ৬৪ বছরের রুশদি। ওয়েলসে এক সাহিত্য উৎসবে ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে রুশদির মন্তব্য, “ওটা মুসলিম ধর্মগুরুদের উদ্দেশে লিখিনি। ওঁরা আমার লক্ষ্য ছিলেন না। তবে বহু বারই আমার লেখা ওঁদের অপছন্দ হয়েছে। আমাকে মারার চেষ্টাও ওঁরা বহু বারই করেছেন।” সে দিন যে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল ‘স্যাটানিক ভার্সেস’, তাতে ইতি পড়েনি এখনও। মূলত এই বই নিয়ে বিতর্কের জেরেই এ বছরের জানুয়ারি মাসে ভারতের জয়পুরে সাহিত্য উৎসবে রুশদির উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি ওঠে। সমস্যা এড়াতে শেষ পর্যন্ত অনুপস্থিতই থাকেন রুশদি। ওয়েলসের সাহিত্য উৎসবে অবশ্য রুশদি দাবি করেন, ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ নিয়ে আজও কথা হয় কারণ মানুষ উপন্যাসটা পছন্দ করেছেন। তাঁর কথায়, “বইকে বাঁচিয়ে রাখেন তার পাঠকরা। বিতর্ক নয়।” |
|
|
|
|
|