|
|
|
|
মৃত ভারতীয় |
সহকারী পাইলটলাগোসে বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৩ |
সংবাদসংস্থা • লাগোস |
রাতভর তন্নতন্ন করে খুঁজেও একটি প্রাণেরও সন্ধান পাওয়া গেল না। লাগোসে ভেঙে পড়া ডানা এয়ার ওয়েজের এমডি-৮৩ বিমানে এক জনও বেঁচে নেই, জানিয়ে দিলেন নাইজিরিয়ার বিমানমন্ত্রী হেরল্ড ডেমুরেন। তবে শুধু বিমানের ১৫৩ জন যাত্রীই নয়, লাগোসের ওই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিমানের নীচে চাপা পড়েই প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৪০ জন। মৃতের তালিকায় রয়েছেন বিমানের ভারতীয় সহকারী চালকও। গত কাল চোখের সামনে দেখা বিভীষিকা ভুলতে পারছেন না অনেকেই। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “খুব নীচ দিয়ে উড়ছিল বিমানটা। সঙ্গে একটা বিচ্ছিরি আওয়াজ। তার মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই, বীভৎস জোরে বিস্ফোরণ। একটা বাড়ির উপর ভেঙে পড়ল বিমানটা।” আর এক বাসিন্দা তুনজি দাউদু বুঝতেই পারেননি ঘটনাটা। ভেবেছিলেন বিস্ফোরণ। প্রচণ্ড ধোঁয়া আর আগুনে ভরে গিয়েছিল জায়গাটা। তবে কাল ঠিক কী ঘটেছিল, তা নিয়ে বহুমত রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই জানান, বাড়িতে নয়। বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মারে বিমানটি। অনেকে আবার বলেন, প্রথমে একটা আসবাবপত্রের দোকানে ধাক্কা মারে এমডি-৮৩। তার পর পাশেই একটা তিনতলা বাড়ির মধ্যে ঢুকে যায় বিমানের একটা অংশ। এ দিকে খবর ছড়াতে বেশি ক্ষণ লাগেনি। আর প্রায় নিমেষেই ভিড় জমে যায় এগেগে এলাকায়। ভিড় এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে আগুন নিভিয়ে উদ্ধারকাজ চালানোই দুষ্কর হয়ে যায়। পুলিশও বিমানের সামনে যেতে নাকানি চোবানি খেয়ে যায়। এই সুযোগে শুরু হয়ে যায় অবাধে লুঠপাট। ডানা এয়ারওয়েজের মালিক একটি ভারতীয় সংস্থা। বিমানের সহকারী পাইলটও ছিলেন এক ভারতীয়। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ওই সহকারী পাইলটের নাম মহেন্দ্র সিংহ রাঠৌর। বিমান যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, বুঝতে পেরেছিলেন পাইলট। সঙ্গে সঙ্গেই ফিরে যাওয়ার খবর পাঠিয়েছিলেন বিমানবন্দরে। কিন্তু ফেরা আর হল না। ঘটনাস্থলের কাছেই বিমানের ককপিট রেকর্ডার খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে রেকর্ডারটি। ইতিমধ্যেই বিমান মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিমানের ইঞ্জিনে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা গিয়েছিল। |
|
|
|
|
|