কোচবিহারে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় হবে, তা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও বনমন্ত্রী হিতেন বর্মনের ‘লড়াই’-এ জল ঢেলে দিল শিক্ষা দফতর। দুই নেতার পছন্দের জায়গা দু’টি এড়িয়ে শহরের পরিত্যক্ত একটি সরকারি কৃষি খামারের জমিতে ওই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দফতর। সরকারি সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি সাপেক্ষেই কোচবিহার শহরের বিবেকানন্দ স্ট্রিট এলাকার কৃষি খামারের ২০ একর জমি চিহ্নিত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষা দফতর থেকে জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরুর জন্য কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য কৃষি দফতরের আওতায় থাকা ২০ একর পরিত্যক্ত জমি শিক্ষা দফতরের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়ে চিঠি এসেছে। কৃষি, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”এ খবর পেয়েছেন নাটাবাড়ির বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথবাবুও। তিনি বলেন, “উপযুক্ত জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। যোগাযোগ-সহ পরিকাঠামোগত দিক থেকে ওই জায়গার বিকল্প নেই।” বনমন্ত্রী কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত চিঠি না-দেখে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন। বনমন্ত্রীর বক্তব্য, “সোমবার চিঠির প্রতিলিপি দেখব। তার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু বলব না।”
চলতি বছরের রাজ্য বাজেটে কোচবিহারে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। গত এপ্রিল মাসে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু কোচবিহার সফরে গিয়ে কোথায় তা হবে সেই ব্যাপারে খোঁজখবর করেন। তখনই শহর লাগোয়া হরিণচওড়া এলাকায় ওই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার ব্যাপারে সওয়াল করেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ব্রাত্যবাবু সেই এলাকায় গিয়ে জমি দেখেন। পাশাপাশি, মাথাভাঙার খলিসামারি এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার কথা ভেবে দেখার অনুরোধ করেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। শিক্ষামন্ত্রী সেই এলাকাও পরিদর্শন করেছেন। একইসঙ্গে দু’টি এলাকার বিভিন্ন সংগঠন থেকে নিজেদের এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি নির্দিষ্ট করার দাবি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। |