মৃত্যুদণ্ড নয়। আজ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের। ৮০০ জন বিক্ষোভকারীকে খুনের অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। আদালত থেকে হেলিকপ্টারে ৮৪ বছরের মুবারককে নিয়ে
|
আদালতে মুবারক।
ছবি: রয়টার্স |
যাওয়া হয় টোরা জেলে। তবে হেলিকপ্টার থেকে নেমে জেলে ঢুকতে অস্বীকার করেন তিনি। রক্ষীদের অনুরোধে প্রায় আধ ঘণ্টা পরে নামেন মুবারক। আত্মসমর্পণ করার পর থেকে অসুস্থ থাকার জন্য চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তাই এত দিন আটক থাকলেও এই প্রথম জেলে পা দিলেন মিশরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।
১৯৮১ সালে প্রেসিডেন্ট আনওয়ার সাদাতের গুপ্তহত্যার পর ক্ষমতায় আসেন মুবারক।
তার পর ৩০ বছর কায়েম থেকেছেন ক্ষমতায়। বিভিন্ন সময়ে অন্তত বার ছয়েক তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
আদালতের রায়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিশরবাসীর। ন্যায় বিচার হয়েছে বলে খুশি অনেকে। আবার প্রাণদণ্ডের বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হওয়ায় অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন তদন্ত এবং বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে। রায় ঘোষণার পরই আদালতের বাইরে জড়ো উৎসাহী জনতা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। অনেকে প্ল্যাকার্ড লিখে এবং স্লোগান দিয়ে মুবারকের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানাতে থাকেন। নিরাপত্তা রক্ষীদের দিকে ছুড়তে থাকে বোতল, জুতো।
আজ শুধু মুবারককেই নয়, যাবজ্জীবনের সাজা শোনানো হয় তাঁর আমলের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী হাবিব-আল-আদলিকেও। তবে মুবারকের দুই পুত্র গামাল এবং আলাকে পুরনো অভিযোগগুলি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও তাঁদের বিরুদ্ধে নতুন করে দুর্নীতির মামলা শুরু হয়েছে।
|
টুইটারে প্রেসিডেন্টকে ‘ফলো’ করেছিল সে। আর তাতেই কেল্লা ফতে। প্রেসিডেন্টের ৩০ লক্ষ তম ‘ফলোয়ার’ হওয়ার সুবাদে এখন একটা আস্ত বাড়ি উনিশ বছরের কিশোরীটির হাতের মুঠোয়। অবিশ্বাস্য ঠেকলেও এমনটাই ঘটেছে ভেনিজুয়েলায়। শুধু তাই নয়, ৩০ লক্ষ তম ‘ফলোয়ার’ হওয়ায় সুখবর জানিয়ে শুভেচ্ছাবার্তা এসেছে স্বয়ং প্রেসিডেন্ট উগো চাভেসের কাছ থেকে। গত বৃহস্পতিবারই হাতে এসে গিয়েছে বাড়ির চাবি। উনিশ বছরের নাতালিয়া ভালদিভিয়েসোর উচ্ছ্বাস তাই বাঁধভাঙা। বাড়ি পেয়ে সেও জানিয়ে দিয়েছে, “চাভেসই সব চেয়ে ভাল প্রেসিডেন্ট।” এ বছরেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর তার আগে কেবল প্রেসিডেন্টকে সমর্থন করায় কাউকে বাড়ি দেওয়া নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। এমনকী চাভেসের বাকি সমর্থকরা এতে নিরাশ হয়ে পড়েছেন বলে মজাও করছেন কেউ কেউ। |