|
|
|
|
|
|
নতুন ব্যবস্থা |
ছোটদের টানতে |
দেবাশিস ঘোষ |
পর্দায় সত্যজিৎ রায়ের ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’। শিশুরা মগ্ন গুপী, বাঘা, ভূতের রাজায়....। সিনেমা শেষ হতেই রিমঝিম, সুদীপ্ত, ঈশানরা ঘিরে ধরল জেলা গ্রন্থাগারিক অমিত পালকে। সিনেমা দেখে তারা ভারি খুশি। তাদের প্রশ্ন, “আবার কবে সিনেমা দেখানো হবে?”
জেলা গ্রন্থাগারে শিশু বিভাগ আগেই ছিল। বাড়তি প্রাপ্তি এই ‘চিলড্রেন্স কর্নার’। সম্প্রতি এর উদ্বোধন হয়েছে।
অমিতবাবু বলেন, “আপাতত প্রতি শনিবার বিকেলে এখানে শিশু-কিশোর চলচ্চিত্র দেখানোর ব্যবস্থা থাকছে। বই-এর সঙ্গেই কেনা হয়েছে নানা শিশু-চলচ্চিত্রের ডিভিডি। নন্দন গ্রন্থাগারের সঙ্গে ‘ইন্টার লাইব্রেরি লোন’-এর মাধ্যমেও শিশু-চলচ্চিত্রের ডিভিডি নিয়ে আসা হবে।” |
|
নতুন এই বিভাগে চলচ্চিত্রের পাশাপাশি থাকছে কম্পিউটার ব্যবহারের সুবিধাও। শিশু বিভাগটির দায়িত্বে রয়েছেন নমিত ভৌমিক ও বরুণ মণ্ডল। নমিতাদেবী বলেন, “পড়ুয়ারা নানা কম্পিউটার গেম খেলার ও নেট সার্ফিং-এর সুযোগ পাবে। তা ছাড়া স্টেট সেন্ট্রাল লাইব্রেরির নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাজারে পাওয়া যায় না এমন পুরনো বই পড়তে পারে।”
জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক জয়শ্রী সেন বলেন, “রাজা রামমোহন লাইব্রেরি ফাউন্ডেশানের দু’লক্ষ টাকার আর্থিক আনুকূল্যে এই বিভাগটি সাজানো হয়েছে। শিশুদের নতুন বইয়ের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি কম্পিউটার, প্রোজেক্টর ও আধুনিক শব্দযন্ত্র কেনা হয়েছে।”
অমিতবাবু বলেন “চিলড্রেন্স কর্নারের জন্য প্রত্যেক জেলা গ্রন্থাগারকেই রামমোহন লাইব্রেরি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এই দু’লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। এ বার এই অনুদানের জন্য হাওড়া জেলা গ্রন্থাগার নির্বাচিত হয়েছে।”
রাজ্যের জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগারমন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন ‘‘শুধু জেলা গ্রন্থাগারগুলিই নয়, টাউন ও প্রাইমারি ইউনিট গ্রন্থাগারগুলিরও পরিকাঠামো উন্নত করে পাঠকের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|