জমছে আবর্জনা
অভাব ভ্যাটের
নসংখ্যা বেড়েছে। জঞ্জাল বেড়েছে। কিন্তু ভ্যাট বাড়েনি। ফলে কোথাও রাস্তায় আবর্জনা পরে থাকছে। কোথাও ভ্যাট উপচে যাচ্ছে। সংযোজিত এলাকায় আবার ভ্যাটই নেই। দুর্গন্ধ ও দূষণে নাকাল হচ্ছেন বাসিন্দারা। এই অবস্থা হাওড়া পুর-এলাকার।
পুরসভা সূত্রে খবর, দৈনিক ৮০০-৯০০ মেট্রিক টন জঞ্জাল জমা হচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ, প্রয়োজনের তুলনায় ভ্যাটের সংখ্যা অনেক কম। ফলে রাস্তায় জঞ্জাল পড়ে থাকছে। দুর্গন্ধে হাঁটা দায়। দূষণও ছড়াচ্ছে। বেলগাছিয়ার বাসিন্দা রঞ্জন দাসের কথায়: “বেনারস রোডের উপরেই জঞ্জাল জমে থাকে। নিয়মিত পরিষ্কার হয় না।
নর্দমা ভর্তি হয়ে যায়। জঞ্জালের উপর দিয়ে গাড়ি গেলে দুর্বিষহ অবস্থা হয়।” কলেজ শিক্ষক তাপসী মাইতি বলেন, “বেলিলিয়াস রোডের বিভিন্ন জায়গায় আবর্জনা জমে থাকে। রাস্তার এক দিক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। দুর্গন্ধে খুব কষ্ট হয়।” সংযোজিত এলাকার বাসিন্দা শিশির রায় বলেন, “সংযোজিত এলাকায় কোনও ভ্যাট নেই। নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। কুকুর, বিড়ালে আবর্জনা ছড়িয়ে দেয়। জল জমলে আরও খারাপ অবস্থা হয়। প্রচণ্ড দূষণ ছড়ায়।” হাওড়া পুরসভার মেয়র পারিষদ (সাফাই) দেবাশিস ঘোষ বলেন, “সংযোজিত অঞ্চলে কোনও নির্দিষ্ট ভ্যাট নেই। সাফাইকর্মীরা একটা জায়গায় জঞ্জাল জমা করেন। সেখান থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। ছোট রাস্তায় গাড়ি ঢুকতে পারে না। সাইকেলে জঞ্জাল সংগ্রহের পরিকল্পনা হচ্ছে। অনেক জায়গায় ভ্যাট ভেঙে গিয়েছে। সেখানে কংক্রিটের ভ্যাট হবে। তবে সচেতনতারও অভাব আছে।”
৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা এলাকার বিধায়ক জটু লাহিড়ী বলেন, “সংযোজিত এলাকায় জঞ্জালের ভ্যাট নেই। প্রতি দিন সাফাইও হয় না। আমার ওয়ার্ডে সপ্তাহে দু’দিন জঞ্জাল পরিষ্কার করা হয়। নর্দমার উপরে দোকান হওয়ায় নর্দমা পরিষ্কার করা যাচ্ছে না।”
রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “হাওড়ার যেখানে-সেখানে জঞ্জাল পড়ে থাকে। ভ্যাটের সংখ্যা বাড়ানো পাশাপাশি নিয়মিত পরিষ্কারের ব্যবস্থা করতে হবে। মানুষকেও সচেতন হতে হবে।”
মেয়র মমতা জয়সোয়াল বলেন, “জনসংখ্যার তুলনায় ভ্যাট বাড়ানো যায়নি। জায়গার সমস্যা হচ্ছে। সাফাইকর্মীর সংখ্যা অনেক কম। তবুও দিনে দু’বার করে জঞ্জাল পরিষ্কার করা হয়। আর্বান এমপ্লয়মেন্ট স্কিমে বিকেলে সাফাই হচ্ছে। রাজ্য সরকারকে জানিয়েছি। তবে সংযোজিত এলাকায় ভ্যাট নেই। কবে সাফাই হবে কাউন্সিলররা ঠিক করে দেন। নতুন ভাগাড় করার জায়গা পাওয়া যায়নি।”

ছবি: রণজিৎ নন্দী




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.