|
|
|
|
|
|
খেলা |
পঞ্চাশে পা |
চন্দন রুদ্র |
জীর্ণ টালির ক্লাবঘর। লাগোয়া এক চিলতে মাঠে চলছে অনুশীলন। এ ভাবেই পঞ্চাশ পেরিয়ে এল বাকসাড়া কিশোর কল্যাণ সঙ্ঘ।
নবনারীতলা লেনের এই শিশু কিশোর সংগঠনের সুবণর্র্ জয়ন্তী উপলক্ষে শুরু হয়েছে খোখো, কবাডি, ব্রতচারীর মতো নানা খেলার প্রশিক্ষণ শিবির। স্থানীয় ব্যাতড় প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাওড়া হোমস প্রাথমিক বিদ্যালয়, জগাছা গার্লস স্কুল, ব্যাতড় শিক্ষায়তন ফর গার্লস, বাগবেড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাতঘরা ননীগোপাল প্রাথমিক বিদ্যালয় ইত্যাদি স্কুলের ১৪৫ জন পড়ুয়া প্রতি সপ্তাহের শনি ও রবিবার প্রশিক্ষণ নিতে আসছেন। নানা খেলা, শারীরশিক্ষার পাশাপাশি নাচ-গানের চর্চাও হয়। |
|
হাবুল মিস্ত্রি, নিরাপদ ঘোষ, কার্তিক মাঝি, পুলিন মান্নাদের হাত ধরে ১৯৬১-এ বাকসাড়া কিশোর কল্যাণ সঙ্ঘের পথ চলা শুরু। ক্লাবের এক প্রশিক্ষক মৃণ্ময় রায় ঘোষ বলেন, “সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে আমরা নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। স্থানীয় বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের পাঠিয়ে সহযোগিতা করছেন। খোখো, কবাডি, ফ্লোর এক্সারসাইজ, প্যারেড, ব্যান্ড বাদ্য, বাঁশি, লোকনৃত্যের মতো নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ চলছে।”
এই ক্লাবের ব্যান্ডের দল রয়েছে। রয়েছে খোখোর দলও। মিনি থেকে সিনিয়র স্তরে খোখো খেলেন প্রায় ১২০ জন। এ বার ক্লাব ডুমুরজলা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠ ও সাঁতরাগাছি রেল কলোনিতে দু’টি খোখো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করেছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া কবাডির প্রশিক্ষণ আবার শুরু হয়েছে। হ্যান্ডবল প্রশিক্ষণ শিবির শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। |
|
তবে নানা অভাবও রয়েছে। ক্লাব সচিব নীলমাধব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ক্লাবঘরের অবস্থা ভাল নয়। বর্ষায় টালির চাল দিয়ে জল পড়ে। ব্যান্ডের সরঞ্জাম রাখতে পারি না। শৌচাগার নেই। মেয়েদের খুবই অসুবিধা হয়। আর্থিক সহায়তার জন্য অনেক জায়গায় আবেদন করেছি। মাঠে ফ্লাড লাইটের ব্যবস্থা হলে রাতেও অনুশীলন করা যেত।”
|
ছবি: রণজিৎ নন্দী। |
|
|
|
|
|