স্বস্তির আশা জাগিয়েও বৃষ্টির কৃপণতায় ফের ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বাড়ল বালুরঘাটে। বুধবার সকাল ১১ টা নাগাদ আকাশ কালো করে মেঘ জমতে দেখে টানা প্রায় এক মাস জুড়ে তীব্র দহনে কষ্ট পেতে থাকা বাসিন্দাদের মনে খুশির হাওয়া বইতে থাকে। ঝিরঝিরে বৃষ্টি নামতেই রাস্তাতেই পথচারীদের ভিজতে দেখা যায়। যদিও মেঘের তর্জন গর্জন সার হয়েছে। মাত্র ১৫ মিনিট মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি হয়। বালুরঘাটে আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক তপন পাল জানান, বৃষ্টির পরিমাণ ছিল মাত্র ৬ মিলিমিটার। তুলনায় বালুরঘাটের চেয়ে আশেপাশের পতিরাম, বাউল, বোল্লা, রামপুর এলাকায় বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এই সামান্য বৃষ্টির পরেই ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি আরও বেড়ে যায়। কৃষি দফতর জানিয়েছে, টানা দাবদাহের জন্য জেলা জুড়ে পাট চাষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। |
কয়েকদিন একটানা মুষলধারায় বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এদিকে, প্রচন্ড গরমের কারণে রাজ্য সরকার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে আগাম গরমের ছুটি ঘোষণা করলেও দক্ষিণ দিনাজপুরে গ্রামাঞ্চলের স্কুলের ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ। উপরন্তু সকালের বদলে সামনের জুন মাস থেকে গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক স্কুলগুলির পঠনপাঠন দুপুরে করার সিদ্ধান্তে সংসদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিভাবক, শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। গরমের সময় বরাবর জেলায় জুন-জুলাই দু’মাস সকালে স্কুল হয়। এ বছর দাবদাহের তীব্রতা অন্য বছরের তুলনায় বেশি হওয়া সত্বেও কেন গ্রামের প্রাথমিক স্কুলগুলিকে ওই নিয়মের আওতার বাইরে রাখা হল সেই প্রশ্ন উঠেছে। জেলা প্রাথমিক স্কুল সংসদের চেয়ারম্যান বাচ্চু হাঁসদা বলেন, “সকালে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকদের (এসআই) স্কুল পরিদর্শনে সমস্যা হচ্ছে। সে কারণে সকালের বদলে জুন মাস থেকে দুপুরেই স্কুল চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।” বালুরঘাট, তপন, হরিরামপুরের মতো দাবদাহ চলতে থাকা ব্লকগুলির গ্রামের স্কুলগুলির অধিকাংশ শিক্ষক ও অভিভাবকের অভিযোগ, সকাল থেকেই তীব্র গরমে কচিকাঁচারা কষ্ট পাচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় জলস্তর নেমে নলকূপ থেকে জল না ওঠায় মিড ডে মিলের রান্না বন্ধ হয়েছে। |