বাম জমানায় ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক বা বিডিও-দের ক্ষমতা অনেকটাই সীমিত হয়ে গিয়েছিল। প্রশাসনিক কাঠামোকে আরও আঁটোসাঁটো করতে এ বার ব্লক স্তরে সব ধরনের সরকারি কাজকর্মে বিডিও-দেরই সর্বময় কর্তৃত্ব দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ছুটি মঞ্জুর থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজের রাশ থাকবে তাঁদের হাতেই।
ব্লক পর্যায়ে বিভিন্ন সরকারি দফতরের ‘সম্প্রসারণ’ আধিকারিকেরা বিডিও-র কার্যালয়ের ছত্রচ্ছায়ায় কাজ করেন। কিন্তু ব্লক কার্যালয়ে বসে কাজ করলেও এত দিন অন্যান্য দফতরের ব্লক স্তরের আধিকারিকদের উপরে বিডিও-দের কার্যত কোনও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণই ছিল না। ছুটি অনুমোদন তো দূরের কথা, ওই আধিকারিকেরা ছুটি নিলে বা ব্লক ছেড়ে অন্যত্র কাজে গেলে অনেক সময় বিডিও-রা তা জানতেই পারতেন না। অথচ ব্লকে যে-কোনও ধরনের সমস্যা দেখা দিলে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের কাছে জবাবদিহির দায় বিডিও-দেরই।
এই প্রশাসনিক অসুবিধা দূর করতে ব্লকে ব্লকে বিডিও-দের মুখ্য সমন্বয়কারী আধিকারিকের মর্যাদা দেওয়ার জন্য ডব্লিউবিসিএস (এগ্জিকিউটিভ) অফিসারদের সংগঠন বাম আমলে বহু আর্জি জানালেও তখন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি একটি নির্দেশ জারি করে নতুন সরকার ব্লক স্তরের প্রশাসনে বিডিও-দের মুখ্য সমন্বয়কারী আধিকারিকের মর্যাদা দিয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন সরকারি দফতরের ব্লক স্তরের সম্প্রসারণ আধিকারিকেরা এখন থেকে বিডিও-র সুপারিশ ছাড়া লম্বা ছুটি নিতে পারবেন না। তাঁদের ক্যাজুয়াল ছুটি মঞ্জুর করার ভারও থাকছে বিডিও-দের হাতে।
এত দিন জেলায় বিভিন্ন দফতরের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকেরা নিজের নিজের দফতরের ব্লক সম্প্রসারণ অফিসারদের কাজের বার্ষিক গোপন মূল্যায়ন (এসিআর)-এর প্রাথমিক রিপোর্ট লিখতেন। নতুন নির্দেশের ফলে এখন থেকে ব্লক স্তরের ওই সব সম্প্রসারণ অফিসারের প্রাথমিক এসিআর লিখবেন বিডিও-রাই। |