মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে কেরলে কাজ করতে যাওয়া দুই যুবকের। মঙ্গলবার সকালে কেরলের কোরিয়াম এলাকার ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন এই রাজ্যের আরও দুই শ্রমিক। সেখানেরই এক হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। মৃত যুবক পূর্ণ জানা (২১) ও অনুকূল দাসের (২৭) দেহ আনতে কেরলে রওনা হয়েছেন তাঁদের বাড়ির লোক।
নামখানার বিডিও মুনিরুদ্দিন ফারুক বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” |
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নামখানা ব্লকের উত্তর চন্দনপিড়ি ও দক্ষিণ চন্দনপিড়ি গ্রামের জনা পনেরো যুবক স্থানীয় এক ঠিকাদারের অধীনে মাস খানেক আগে কেরলে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিল। সেই দলেই ছিলেন পূর্ণ ও অনুকূল। পরিবারের লোক জানান, সেখানে একটি কারখানার নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ভিত কাটার কাজ চলছিল। এ দিন সকালে প্রায় ২৫ ফুট নীচে মাটি কাটার সময় আচমকা ধস নামে। তাতে চাপা পড়েন অনেকেই। ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে মাটি সরিয়ে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় ওই দু’জনের। জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সনাতন জানা এবং বিপুল দাস।
পূর্ণর মা বলেন, “সোমবার সকালে ছেলের সঙ্গে ফোনে অনেক ক্ষণ কথা হয়েছিল। পরদিন কথা হয়নি। বিকেলে ফোনে এই খবর আসে।” অনুকূল দাসের প্রতিবেশী সুদর্শন আচার্য জানান, খবর পাওয়া মাত্র এ দিন অনুকূলের ভাই-সহ আরও কয়েক জন কেরলে উদ্দেশে রওনা হন। বুধবার দুপুরে ওই গ্রামে যান নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতি। সহ-সভাপতি কুমারেশ পণ্ডা বলেন, “দেহ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বিডিওকে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে মৃত দুই যুবকের পরিবারের লোক যাতে ক্ষতিপূরণ পায় সেই চেষ্টাও চলছে।” |