টুকরো খবর
দুর্ঘটনায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী-সহ মৃত ২
পাড়ার ‘দাদা’র সঙ্গে মঙ্গলবার বিকেলে গাড়িতে কলকাতায় গিয়েছিল দুর্গাপুরের বেনাচিতির নতুনপল্লির বাসিন্দা, সদ্য মাধ্যমিক উত্তীর্ণ সন্দীপ দত্ত (১৬)। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হল না তার। রাতে হুগলির দাদপুরের গোবিন্দপুরে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে দু’টি ট্রাকের মধ্যে পিষে গেল তাদের গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল সন্দীপ এবং তার পাড়াতুতো ‘দাদা’ সুবীর দত্তের (২৬)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দুর্গাপুরের মহিষ্কাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বার মাধ্যমিক দিয়েছিল সন্দীপ। সুবীর গাড়ি চালানোর কাজ করতেন। মঙ্গলবার বিকেলে সুবীর এলাকারই এক মহিলাকে গাড়ি করে কলকাতার কালীঘাটে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। একা ফিরতে হবে বলে সন্দীপকেও গাড়িতে তুলে নেন। ওই মহিলাকে কালীঘাটে নামিয়ে সন্দীপরা দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ১০টা নাগাদ গোবিন্দপুর এলাকায় গাড়িটি একটি ট্রেলারের পিছনে ধাক্কা মারে। পিছন থেকে আসা একটি ট্রাক তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা মারে। দু’টি গাড়ির মাঝখানে পিষে যায় সন্দীপদের গাড়িটি। পুলিশ ট্রাক এবং ট্রেলারটি আটক করেছে। বুধবার চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়না-তদন্তের পরে দেহ দু’টি নিয়ে ফিরে যান পরিবারের লোকজন।

মোবাইল টাওয়ারে চড়লেন মহিলা
নিজস্ব চিত্র।
রাত-পাহারা দিচ্ছিলেন সিঙ্গুরের কালিয়াড়া অঞ্চলের জনা কয়েক যুবক। হঠাৎ তাঁদের মনে হয় মোবাইল টাওয়ারের উপর কিছু একটা নড়াচড়া করছে। টর্চের আলো ফেলতেই দেখা যায় এক মহিলা ৩২ মিটার উচু ওই টাওয়ারে চড়ে বসে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে ডাক পড়ে টাওয়ারের পাহারাদারের। রাত দেড়টা নাগাদ এক মহিলা তাঁর নজর এড়িয়ে টাওয়ারে উঠে পড়ল কী করে? কাঁচুমাচু মুখে পাহারাদার বলেন, “কখন উঠল জানি না! এক সময় একটু অন্য দিকে গিয়েছিলাম। সেই ফাঁকেই হয় তো উঠে পড়েছে।” এ দিকে, বহু চিৎকার-চেঁচামেচি করেও নামানো যায়নি বছর পঞ্চাশের সেই মহিলাকে। ভোরের আলো ফুটতেই খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও দমকলে। দমকলকর্মীরা তাঁকে নীচে নামিয়ে আনেন। পরে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা জানিয়েছেন তাঁর নাম বিলকিস বেগম। বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। তাঁর দাবি, পরিবারের লোকজন শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালানোয় তিনি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। ট্রেনে ঘুরতে ঘুরতে পৌঁছেছিলেন সিঙ্গুরে। ওই রাতে তাঁকে কয়েক জন তাড়া করেছিল। ভয়ে টাওয়ারে উঠে পড়েন। পুলিশ জানায়, ওই মহিলা অসংলগ্ন কথা বলছেন। আদালত নির্দেশ দিলে কোনও হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। তাঁর বাড়ির ঠিকানা জানারও চেষ্টা চলছে।

পরীক্ষার আগে অসুস্থ হয়েও ‘সফল’ দীপন
মেধা তালিকায় যুগ্ম ভাবে দশম স্থান অধিকার করেছে মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র দীপন শর্মা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৩। দীপনের বাড়ি শ্রীরামপুরের চাতরা মুখার্জিপাড়ায়। সে ৭ জন গৃহশিক্ষকের কাছে পড়েছে। তবে বাড়িতে পড়ার ধরা-বাঁধা রুটিন ছিল না। পরীক্ষার আগে মোটামুটি ভাবে ৬-৭ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছে সে। মাধ্যমিকের টেস্টের আগে পেটে যন্ত্রণা শুরু হয় দীপনের। অগ্নাশয়ে রোগ ধরা পড়ে। টেস্টের পরে ভেলোরে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হয়। সে সময়ে বেশ কয়েক দিন পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে। পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর দেখলে তা অবশ্য বোঝার উপায় নেই। দীপনের কথায়, “ভেবেছিলাম ৬৬০-এর বেশি পাব। তাই এই নম্বরে আমি খুশি।” স্কুলের প্রধান শিক্ষক শশাঙ্কশেখর মণ্ডল বলেন, “দীপন খুব শান্ত। কম কথা বলে। পড়াশোনায় খুব মনযোগী।” দীপন বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায়। ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার ইচ্ছে তার।

অস্বাভাবিক মৃত্যু
এক বৃদ্ধের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার, বালির সমবায়পল্লিতে। মৃতের নাম প্রদীপ দে (৬০)। বড়বাজারে তাঁর কাপড়ের ব্যবসা রয়েছে। এ দিন ঘরের দরজা ভেঙে পুলিশ তাঁর দেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বাড়িতে একাই থাকতেন প্রদীপবাবু। তাঁর ছেলে ও স্ত্রী মুম্বইয়ে থাকেন। এ দিন সকালে তিনি বাড়ি থেকে বেরোননি। পড়শিদের ডাকে সাড়াও দেননি। এর পরেই স্থানীয়েরা থানায় খবর দেন। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.