পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের সঙ্গে একপ্রস্ত আলোচনার পরেও ধর্মঘটের প্রশ্নে অনড় থাকল ট্যাক্সি সংগঠনগুলি। ট্যাক্সিভাড়া বৃদ্ধি, রাতের ট্যাক্সিভাড়া ১৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়ানো, পুলিশি হয়রানি কমানো-সহ বিভিন্ন দাবিতে ৬ এবং ৭ জুন বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন-সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন ধর্মঘট ডেকেছিল। বুধবার পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিভিন্ন ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা। পরে বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বিমল গুহ বলেন, “আমাদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে মন্ত্রী কোনও আশ্বাস দিতে পারেননি। তবে পুলিশি হয়রানি কমানো-সহ বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। আমরা ৪ তারিখ পর্যন্ত পরিস্থিতি দেখব। ওই দিন ১২টায় মন্ত্রীর সঙ্গে ফের বৈঠক। তার পরেই ধর্মঘটের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।” মন্ত্রী বলেন, “বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ট্যাক্সিতে যাতে রোজগার বাড়ে, তা নিয়ে রাজ্য সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে। পাশাপাশি, ট্যাক্সি-প্রত্যাখ্যানের সমস্যা কমাতে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় প্রি-পেড ট্যাক্সি বুথ তৈরির কথাও হচ্ছে।”
|
সল্টলেকের জি-ডি মার্কেটে বুধবার রাতে একটি খাবারের দোকানে ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশি সূত্রের খবর, রাত ১০টা নাগাদ জনা চারেক দুষ্কৃতী অটোরিকশায় চড়ে এসে কর্মীদের সামনেই ফাস্ট ফুডের ওই দোকানে তাণ্ডব চালিয়ে পালিয়ে যায়। কর্মীরা জানান, অটোর চালক-সহ সকলেরই মুখে কাপড় বাঁধা ছিল। তিন জন অটো থেকে নেমে হামলা চালায়। তবে চালক অটো থেকে নামেনি। কেন এই তাণ্ডব, সেই ব্যাপারে পুলিশ নিশ্চিত ভাবে কিছু জানাতে পারেনি। তারা ওই দোকানের কর্মচারীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে। দোকানের মালিক গোপাল সরকার জানান, ১৯৯৪ সালে তিনি পুরসভার অনুমোদনেই ওই বাজারে টেলিফোন বুথ খোলেন। কিন্তু ব্যবসা ভাল না-চলায় বছর চারেক আগে বুথের গায়েই ফাস্ট ফুডের দোকান দেন। পুলিশের সন্দেহ, ফোনের বুথের সঙ্গে সঙ্গে খাবারের দোকানের ব্যবসাকে ঘিরেই সমস্যার সূত্রপাত। এবং তারই জেরে ভাঙচুর। রাতেই ঘটনাস্থলে যান বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। যান স্থানীয় কাউন্সিলর দেবাশিস জানাও।
|
ময়ূখ ভবনে ম্যাজিস্ট্রেটের ঘর থেকে ফের চুরির ঘটনা ঘটল। বছর খানেক আগে বিধাননগরের এই সরকারি ভবনের চতুর্থ তলে এক এগ্জিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ঘর থেকে ব্যাগ, কাগজ ও টাকা খোয়া গিয়েছিল। বুধবার এই ভবনের তৃতীয় তলে খোদ বিধাননগর মহকুমা আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ঘর থেকে চুরি গেল ল্যাপটপ-সহ ব্যাগ। বদলে মিলল অন্য একটি ব্যাগ, তাতে কাগজপত্র ও এক ব্যক্তির পরিচয়পত্র। পরে বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ জানায়, দুপুরে বিধাননগর মহকুমা আদালতে ওই ম্যাজিস্ট্রেট জানান তিনি ব্যাগ খুঁজে পাচ্ছেন না। যে ব্যক্তির পরিচয়পত্র মিলেছে, পুলিশ ইতিমধ্যেই তাঁর খোঁজ শুরু করেছে। এক বছর আগের ঘটনার আজও কিনারা হয়নি। একটি নির্দিষ্ট চক্র এই কাজে যুক্ত বলে পুলিশের অনুমান। এ দিকে, এ দিন বিধাননগরের বিদ্যাসাগর আইল্যান্ডের কাছে বাসের মধ্যে এক মোবাইল ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন যাত্রীরা। বাকী দুই দুষ্কৃতী পালায় বলে যাত্রীদের দাবি। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম কালাম মণ্ডল।
|
শহরে পৃথক তিনটি পথ দুর্ঘটনায় বুধবার মৃত্যু হল চার জনের। পুলিশ জানায়, প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে বেলা ১১টা নাগাদ, গার্ডেনরিচ রোডে। লক্ষ্মীশঙ্কর গুপ্ত নামে এক সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মারে একটি মালবাহী গাড়ি। এসএকেএমে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ সোনারপুর থানার হরিনাভি এলাকায় বালিবোঝাই একটি লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় সুবীর হালদার (৩১) ও নিমাই ঘোষ (৬০) নামে দু’জন সাইকেল আরোহীর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুবীরবাবুর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিমাইবাবুকে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ দিন বিকেলে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘাতক লরিটি পুলিশ আটক করলেও চালক পলাতক। অন্য দিকে, বিকেলে আলিপুর থানা এলাকায় একটি গাড়ির ধাক্কায় এক অজ্ঞাতপরিচয় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়। আহত হন মোটরসাইকেল চালকও।
|
মন্দিরের ছ’টি তালা ভেঙে গর্ভগৃহ থেকে চুরি গেল বিগ্রহের রূপোর গয়না, খাঁড়া-সহ পুজোর সামগ্রী। সেই সঙ্গে চুরি গিয়েছে ১৬০ বছরের পুরনো মন্দিরের প্রথম হোমকুণ্ডটিও। মঙ্গলবার গভীর রাতে, বরাহনগর থানার প্রামাণিক কালীবাড়ির ঘটনা। মন্দিরের ‘ব্রহ্মময়ী কালী ট্রাস্টে’র তরফে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানানো হয়েছে, চুরি যাওয়া জিনিসের আনুমানিক মূল্য তিরিশ হাজার টাকা। পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। |