দেশ ভাগের ফলেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ভূমি সংস্কার হয়ে গিয়েছিল বলে মনে করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তাঁর মতে, দেশভাগের সময়ে সে দেশের বড় বড় হিন্দু জমিদারেরা লক্ষ লক্ষ বর্গ একর জমি ছেড়ে ভারতে চলে আসেন। তখন সেই জমির অধিকার পান দরিদ্র মুসলিম চাষিরা। এ ভাবে পূর্ব পাকিস্তানে কোনও আইন বা আন্দোলন ছাড়াই ভূমি সংস্কার হয়ে যায়। অনেকটাই মুছে যায় সামন্ততন্ত্র। যা পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সরকারের সাফল্যের জন্য প্রাচীন ইতিহাসের গুরুত্ব অনেকটা বলেও মনে করেন অমর্ত্য সেন। এই অর্থনীতিবিদের মতে, হিন্দু-মুসলিম সুসম্পর্কই এখন বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গড়ে তুুলতে সাহায্য করেছে। ইতিহাসের নজির টেনে তিনি বলেন, পলাশির যুদ্ধের আগে সিরাজ-উদ-দৌল্লা লর্ড ক্লাইভকে চার জন সভাসদের সঙ্গে পরামর্শ করার কথা বলেছিলেন। তাঁদের মধ্যে দু’জন ছিলেন হিন্দু। মুসলিম শাসকের সভায় হিন্দুরা অত উঁচু পদে কাজ করতেন, এর থেকেই বোঝা যায় তিনি কতটা ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন। তপন রায়চৌধুরীর ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইন আওয়ার টাইম’ বইটির প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন লেখক-অনুবাদক উইলিয়াম রাদিচেও।
|
সৌদি আরবে কর্মরত ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার ফাসিহ মাহমুদকে ১৩ মে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) জঙ্গি সন্দেহে তাঁর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। সেই থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ নেই বলে দাবি করেছেন ফাসিহর স্ত্রী পরভিন মাসুদ। তাঁর স্বামীর খোঁজ দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন পরভিন। এর পরেই ফাসিহর খোঁজ পেতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং বিদেশ মন্ত্রককে নোটিস পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ১ জুন পরভিনের আবেদনের শুনানি হবে। তখন দুই মন্ত্রককে ফাসিহর ব্যাপারে জানাতে হবে। পরভিনের দাবি, আদতে বিহারের দ্বারভাঙার বাসিন্দা ফাসিহ কাজের সূত্রে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। ১৩ মে হঠাৎই সৌদি আরবে তাঁদের বাড়িতে আসে কয়েক জন সৌদি পুলিশ ও কিছু ভারতীয়। নিজেদের এনআইএ বলে পরিচয় দেন ওই ভারতীয়রা। তাঁরা পরভিনকে জানান, ফাসিহর সঙ্গে জঙ্গিদের যোগ রয়েছে। তাই তাঁকে ভারতে পাঠানোহবে। এর পরে তাঁরা ফাসিহকে তুলে নিয়ে চলে যান। |