ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ক্রিকেটীয় সম্পর্ক নতুন করে তৈরির চেষ্টার মধ্যেই টাটকা বিতর্ক আছড়ে পড়ল পাক ক্রিকেটে। গড়াপেটা নয়, এ বার জঙ্গিদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অভিযোগ উঠল পাক পেসার উমর গুলের বিরুদ্ধে।
একটি পাক সংবাদপত্রের খবর, পেশোয়ারে মঙ্গলবার উমর গুলের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পাক সেনা কম্যান্ডোরা। পুলিশ খুঁজছে এমন এক জঙ্গিকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় উমরের ভাই মীরজকে। হাজি দালি নামক সেই জঙ্গি আবার সম্পর্কে মীরজের কাকা। পুলিশের মতে, হাজি নিষিদ্ধ লস্কর-এ-ইসলাম গোষ্ঠীর এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। মীরজের সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন ইউনাস ও শাকিল নামে আরও দু’জন। ইউনাস ও শাকিল দু’জনেই স্থানীয় প্যারামেডিক। তাঁদের গোপন জায়গায় নিজেদের হেফাজতে রেখেছে পুলিশ।
উমরের এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, কম্যান্ডোদের একটি দল উমরের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। স্থানীয় থানার এক কর্তা দাবি করেছেন, খাইবার এলাকায় বারা নামক একটি জায়গায় সামরিক বাহিনীর এক অপারেশনে আহত হন হাজি দালি। সেখান থেকে তিনি পেশোয়ারে পালিয়ে গিয়ে বেশ কয়েক দিন মীরজের সঙ্গে থাকেন। তার পর সেখান থেকেই শহর ছাড়েন। প্রসঙ্গত, খাইবার এলাকাই লস্কর-এ-ইসলাম গোষ্ঠীর প্রধান ঘাঁটি। “আহত ব্যক্তিটিকে হায়াতাবাদ মেডিক্যাল কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। তাঁর সঙ্গে স্থানীয় দুই প্যারামেডিক ছিলেন, যাঁরা আহত ব্যক্তির ব্যান্ডেজ পাল্টান,” পুলিশের ওই কর্তা জানান। আহত ব্যক্তি নিজের পরিচয় না দিয়েই চিকিৎসা করিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে যান। পুলিশের খবর অনুযায়ী দুই প্যারামেডিক উমরের বাড়ির কাছের একটি হাসপাতালের কর্মচারী। সেই হাসপাতালের মালিক আবার গুল পরিবার। যদিও পরিবারের কেউই এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। মীরজ অবশ্য জানান, ভুল বুঝেই পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসে। “পুলিশ দাবি করছিল যে বারা থেকে কোনও আহত ব্যক্তি আমাদের ক্লিনিকে এসেছিল। কিন্তু ওদের বলে দিই, এই ক্লিনিকে জ্বর বা ছোটখাটো অসুখের চিকিৎসা হয়” এ দিন বলেছেন মীরজ। |