বর্ধমানের হোমে ঠাঁই হল বালিকার |
ব্যাঙ্কের কাছে ঘোরাঘুরি করছিল বছর পাঁচেকের মেয়েটি। দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দা চাঁদু হাজরা তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। প্রশাসনের সাহায্যে বুধবার তাকে তুলে দেওয়া হল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে। কালনা ২ ব্লকের সিঙ্গেরকোন এলাকার ঘটনা। সংস্থার তরফে রশ্মি পাল বলেন, “আমরা প্রথমে ওর বাবা মায়ের খোঁজ করব। তাঁদের ঠিকানা পাওয়া না গেলে ও হোমেই পড়াশোনা করবে। হাতের কাজ শিখবে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের আর বাবার নাম ছাড়া কিছুই জানাতে পারেনি মেয়েটি। জানাতে পারেনি তার ঠিকানাও। পরের দিন সোমবার চাঁদুবাবু কালনা ২ ব্লকের বিডিও-কে লিখিত ভাবে এই ঘটনার কথা জানালে বিডিও মহকুমাশাসককে রিপোর্ট দেন এবং যোগাযোগ করেন জেলা সোস্যাল ওয়েলফেয়ার অফিসারের সঙ্গে। ওই দফতর থেকে এর পরে মেয়েটিকে উদ্ধার করার জন্য বলা হয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে। বুধবার ওই সংস্থার প্রতিনিধিরা মেয়েটিকে নিয়ে কালনা থানায় আসে। তার নিরাপত্তা নিয়ে প্রতিশ্রুতি দেয় পুলিশকে। পুলিশের তরফেও মেয়েটির হাতে তুলে দেওয়া হয় ফল আর জামাকাপড়।
|
জাল মদ ধরতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পুলিশ |
জাল মদ তৈরির খবর পেয়ে অভিযানে গিয়ে রাতভর ঘেরাও হয়ে থাকতে হল পুলিশকে। মঙ্গলবার রাতে পূর্বস্থলী ২ ব্লকের মুকশিমপাড়া পঞ্চায়েতের ঘটনা। একটি বাড়ি থেকে মদ তৈরির উপকরণ উদ্ধার করে ও এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে আসার সময়ে পুলিশ বিক্ষোভের মুখে পড়ে। ঘণ্টা চারেক ঘেরাও হয়ে থাকার পরে পুলিশের বড় বাহিনী গিয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানায়, মুকশিমপাড়া পঞ্চায়েতের ন’পাড়া গ্রামে একটি বাড়িতে জাল মদ তৈরি হচ্ছে বলে খবর মেলে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ পূর্বস্থলী থানার পুলিশ ওই গ্রামে যায়। পুলিশ দেখে বাড়ির মালিক পালিয়ে যান। তবে তরুণ ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তি ধরা পড়ে যান। তাঁর বাড়ি পূর্বস্থলী ১ ব্লকের দোগাছিয়ায়। তিনি জাল মদের কারবারে জড়িত বলে পুলিশের অনুমান। ওই বাড়ি থেকে প্রায় পাঁচশো লিটার মদ তৈরির উপকরণও আটক করা হয় বলে জানায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই সব সামগ্রী ও তরুণবাবুকে আটক করে নিয়ে আসার সময়ে কিছু লোকজন পুলিশের গাড়ি ঘিরে ধরে। তারা দাবি করে, তরুণবাবুকে ছেড়ে দিতে হবে। মদ তৈরির সব সামগ্রীও ফেরত দিতে হবে। গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। খবর যায় পূর্বস্থলী থানায়। সেখান থেকে দু’দফায় আরও পুলিশকর্মী পাঠানো হয়। শেষ পর্যন্ত ভোর ৪টে নাগাদ প্রচুর পুলিশকর্মী দেখে ঘেরাওকারীরা পালিয়ে যায়। মহকুমার এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
|
অস্ত্র-সহ তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে কেতুগ্রামের খলিপুর থেকে তাদের ধরা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃত মৃণাল শেখ ও শাহিন শেখ খলিপুরেরই বাসিন্দা। সমরেড শেখের বাড়ি বামুনডিহি গ্রামে। তাদের নামে বেশ কিছু অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ২০০৯ সালে দু’জন সিপিএম কর্মী খুনের ঘটনাতেও তারা অভিযুক্ত। এ ছাড়া পুলিশের উপরে হামলা-সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তাদের কাছ থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল, একটি মাস্কেট ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। কেতুগ্রামের সিপিএম নেতা ফারুক মির্জা বলেন, “সমরেডের বাবা আমাদের দলের সমর্থক ছিলেন। তবে সমরেডরা তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর অনুগামী। ওরা আমাদের দলের লোকজনকে খুন করেছে।” তৃণমূলের কেতুগ্রাম ১ ব্লক সভাপতি রত্নাকর দে-র বক্তব্য, “ধৃতেরা কোন দলের সমর্থক, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। পুলিশ আইনের পথে চলুক।”
|
কেতুগ্রামের ধর্ষণে চার্জশিট দিল পুলিশ |
বর্ধমানের কেতুগ্রামে ধর্ষণ-কাণ্ডে চার্জশিট জমা দিল পুলিশ। তাতে অভিযোগকারিণী ছাড়াও তাঁর ১১ বছরের মেয়ের বক্তব্যে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কাটোয়া-আমোদপুর রেলে ডাকাতির সময়ে ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ। বুধবার কাটোয়া আদালতে জমা
পড়া ১৮৬ পাতার চার্জশিটে বলা হয়েছে, মহিলার বর্ণনা শুনে আঁকা ছবির ভিত্তিতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বদুয়া গ্রামের রেজাউল মির্জা ওরফে বাবুকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। সম্ভবত সে-ই মহিলাকে ট্রেন থেকে নামিয়ে ধর্ষণ করে বলে পুলিশের অনুমান। সে ছাড়াও বীরভূমে নানুর থানার পোষলা গ্রামের কালাম শেখ ও কেতুগ্রামেরই কায়েশ শেখ নামে তিন জনের নামে হুলিয়া জারি করেছে আদালত। অভিযোগকারিণীর জামাকাপড় ও অন্যান্য নমুনা কলকাতায় কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। তবে তার রিপোর্ট পুলিশ এখনও পায়নি।
|
পথ দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে গলসিতে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম অরিন্দম ভট্টাচার্য (৩৫)। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে। তিনি দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি সংস্থার আধিকারিক ছিলেন। বুধবার ভোরে এক বন্ধুর সঙ্গে কমর্স্থলে যাওয়ার সময়ে গলসি মোড়ের কাছে তাঁদের গাড়ি উল্টে যায়। দু’জনেই গুরুতর আহত হন। তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সকাল ৭টা নাগাদ অরিন্দমের মৃত্যু হয়। তাঁর বন্ধুকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। |