মামলা লঘু করে দেওয়ার জন্য পুলিশের নাম করে দুই অভিযুক্তের পরিবারের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। পাত্রসায়র থানার ঘোড়াডাঙা গ্রামের ঘটনা। ওই গ্রামের বাসিন্দা অমিতা মণ্ডল শুক্রবার পুলিশের কাছে তাঁরই পড়শি তৃণমূল কর্মী বংশী ঘোষ ও টাসুলি গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী সুনীল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সাজানো বলে দাবি করেছেন ওই দুই তৃণমূল কর্মী। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ২০১১-এর মার্চ মাসে আফিম পাচারের অভিযোগে অমিতার স্বামী ক্ষুদিরাম মণ্ডল ও তাঁদের পড়শি সুশান্ত বাগদিকে গ্রেফতার করা হয়। অমিতার অভিযোগ, “মামলা লঘু করে দেওয়ার জন্য পুলিশের সঙ্গে ব্যবস্থা করার নাম করে বংশী ঘোষ ও সুনীল সরকার আমার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেন। সুশান্তবাবুর পরিবারের কাছ থেকেও একই ভাবে তাঁরা আরও ৫০ হাজার টাকা নেন। কিন্তু মামলা লঘু করা হয়নি। বেশ কয়েক মাস ওদের জেলে কাটাতে হয়। টাকা ফেরত চাইলে তাঁরা দিচ্ছেন না। তাই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি।”
তৃণমূলের পাত্রসায়র ব্লক সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায় বলেন, “গুরুতর অভিযোগ। তদন্ত করে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিক।” তবে বংশীবাবু ও সুনীলবাবুর দাবি, “দলের এক নেতার মদতেই চক্রান্ত করে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করানো হয়েছে।” পাত্রসায়র থানার তৎকালীন ওসি সঞ্জীব চক্রবর্তীর দাবি, “আমি কারও মাধ্যমে টাকা দাবি করিনি। ঘটনার কথা মনেও নেই।” |