|
|
|
|
সোদপুরে বাড়ির সামনেই খুন ব্যবসায়ী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
নিজের বাড়ির সামনেই খুন হলেন সোদপুরের এক ব্যবসায়ী। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে সোদপুরের নাটাগড়ে। নিহত ইন্দ্র দাস (৪২) বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং, ফ্লেক্স তৈরির ব্যবসা করতেন। পুলিশ জানায়, আড়াইটে নাগাদ বাড়ির কাছে ওই ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ দেহ মেলে। মাথায় গুলি লেগেছিল তাঁর। নিহতের পরনে ছিল বারমুডা ও স্যান্ডো গেঞ্জি। খোয়া গিয়েছে তাঁর মোবাইলটি। খুনের পিছনে কে রয়েছে, রবিবার পর্যন্ত জানা যায়নি। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ, পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই খুন। তবে কোনও ব্যবসায়িক শত্রুতা ছিল কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নাটাগড়ে দোতলা বাড়িতে স্ত্রী রূপালি, দুই ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে থাকতেন ইন্দ্রবাবু। বাড়ির একতলায় কতগুলি দোকান রয়েছে। দোতলার একটি ঘরে থাকতেন ইন্দ্রবাবু। সেই ঘরের ভিতর দিয়ে অন্য একটি ঘরে থাকেন তাঁর স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা।
ইন্দ্রবাবুর বড় ছেলে, বছর ষোলোর পার্থ দাস জানায়, শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ শৌচাগারে যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠেছিল সে। বাবার ঘরের ভিতর দিয়েই শৌচাগারে যাওয়ার রাস্তা, বাইরে যেতে হলেও বেরোতে হয় সেই পথেই। কিন্তু ইন্দ্রবাবুর ঘরের দরজা ও পার থেকে বন্ধ ছিল। তখনই আচমকা সে গুলির আওয়াজ পায় বলে পুলিশকে জানায় পার্থ। তার কথায়, “গুলির আওয়াজে মা আর বোনের ঘুম ভেঙে যায়। আমরা শোয়ার ঘর লাগোয়া বারান্দা থেকে উঁকি দিয়ে দেখি, রাস্তায় কেউ উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছে।” ইন্দ্রবাবুর পরিবার সূত্রে খবর, তখনই সামনের রাস্তা দিয়ে একটি পুলিশের গাড়ি চলে যায়। ফিরেও আসে সেটি। পুলিশই দরজা খুলে পার্থ-সহ বাকিদের বাইরে আনে। ঘরে ইন্দ্রবাবুকে পাওয়া যায়নি। পরে পার্থ বাবার দেহ শনাক্ত করে।
তদন্তকারীরা জানান, শনিবার রাতে ওই এলাকায় পুলিশের একটি টহলদার গাড়ি চারটি ছেলেকে দৌড়তে দেখে। সন্দেহ হওয়ায় গাড়িটি তাদের ধাওয়া করলে গলির অন্ধকারে গা ঢাকা দেয় তারা। তখনই দেহটি দেখতে পান পুলিশকর্মীরা। পুলিশের সন্দেহ, ওই চার যুবকই খুন করেছে ইন্দ্রবাবুকে। পুলিশ সূত্রের খবর, খুব কাছ থেকে মাথায় গুলি করা হয়েছে ওই ব্যবসায়ীকে।
এই খুন ঘিরে কয়েকটি প্রশ্নও উঠেছে পুলিশের মধ্যে। তদন্তকারীরা বলছেন, কাছ থেকে গুলি করা হলেও প্রায় ২০০ মিটার দূরে বাড়িতে বসে তার শব্দ শোনা গেল কী করে? আততায়ীদের মধ্যে এক জন অন্তত পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলেও সন্দেহ পুলিশের। নিহতের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও তেমন ইঙ্গিত মিলেছে বলে পুলিশের দাবি। |
|
|
|
|
|