শবদাহ করে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দুই ব্যক্তির। মৃতদের নাম জলধর মণ্ডল (৪৬) ও চন্দন কুণ্ডু (৪১)। জলধরবাবুর বাড়ি বীরভুমের মৌরেশ্বরের তেগেডায় ও চন্দনবাবুর বাড়ি বীরভুমের গোপালনগরে। শনিবার তাঁরা বহরমপুরের গোরাবাজার ঘাটে এসেছিলেন গোপালনগরেরই বাসিন্দা সদ্য প্রয়াত কিশোরিমোহন মণ্ডল নামে এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের দেহ দাহ করতে। সেখান থেকে ফেরার সময়ে গভীর রাতে বহরমপুর-কান্দি রাজ্য সড়কের উপরে ঘনশ্যামপুর এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। তাতে জখম হয়েছেন আরও ৩৪ জন। তাঁদের ১৫ জনকে প্রথমে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে ৮ জনকে বহরমপুর নিউ জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কিশোরিমোহনবাবুর ছেলে অরূপ মণ্ডলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হয়েছে। পুলিশের অনুমান, ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারানোয় ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে। ট্রাকটির কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে চালক পলাতক।” ওই ট্রাকটিতেই ছিলেন গোপালনগরের বাসিন্দা দিলীপ মণ্ডল। তিনি কান্দি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, “আমরা দুপুরে বহরমপুর গিয়েছিলাম। রাত বারোটা নাগাদ সেখান থেকে বাড়ির পথে রওনা হয়েছিলাম। গাড়িটা বেশ দ্রুতই চালানো হচ্ছিল। দুর্ঘটনাস্থলের আগে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল একটা ছোট গাড়ি। তাকে পাশ কাটিয়ে যেতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়।” |