বড় ম্যাচে ধোনির ভাগ্য সব সময় ভাল। এ দিনও ফাইনালে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়ে গেল।
|
বোলিংয়ের দিক থেকে দেখলে বালাজির চোটটা পুরো টিমের ভারসাম্য নষ্ট করে দিয়েছিল। এতে বোলিংয়ের ওপেনিং কম্বিনেশনটা রইল না। যেটা বালাজি করছিল সাকিবের সঙ্গে। বালাজির লাইন-লেংথের পাশে সাকিবের স্লো বলগুলো খুব কার্যকরী হচ্ছিল। এ দিন যেটা ব্রেট লি-র কাছ থেকে পাওয়া গেল না। লি যে গতিতে বল করেছে, সেটা ব্যাটসম্যানদের পক্ষে আদর্শ ছিল। হাসি-মুরলী দু’জনেই ওকে মাথার উপর দিয়ে ছয় মেরেছে।
দুই, টিমটা একটা ছন্দে এসে গিয়েছিল। ফাইনালে সেটা নষ্ট হয়ে গেল। ম্যাকালামকে ওপেন থেকে সরে যেতে হল। বোলিংয়ের মতো ব্যাটিংয়ের ওপেনিং জুটিটাও ভেঙে গেল। জানি না সে জন্য কি না, তবে বড় রান তাড়া করতে নেমে গম্ভীরকে দেখলাম শুরু থেকেই চাপে রয়েছে। না হলে একেবারে শুরুতেই কেউ ও রকম ক্রস ব্যাটে চালায়। তবে ফাইনালে যে টিমটা নাইটরা এ দিন নামিয়েছিল, সেটাই ওদের সেরা একাদশ। অন্য কাউকে সুযোগ দেওয়ার জায়গা ছিল না। |
নারিনের উপর অতিরিক্ত ভরসা |
আমি কিন্তু জানতাম, নারিন চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে চিপকে সে ভাবে সফল হবে না। আসলে চিপকের উইকেটটা একেবারে পাটা বানানো হয়েছে। ইডেনে যেমন অফ স্পিনাররা একটু সাহায্য পায়, এখানে তার কোনও সুযোগ ছিল না। আর নারিনের জন্য চেন্নাই তৈরি ছিল। শুধু নারিন কেন, কেকেআরের বাকি দুই বাঁ হাতি স্পিনারও সে ভাবে কিছু করতে পারেনি। চেন্নাই টিমে বাঁ হাতি বোঝাই। তাই সাকিব বা আব্দুল্লাহ কেউ কার্যকর হয়নি। |
|
|
বিধ্বংসী হাসি। |
সান্ত্বনা। |
|
চেন্নাই ব্যাটিংয়ের সব থেকে জোরদার ব্যাপার হল, ওরা যদি শুরুটা ভাল করতে পারে, তা হলে বড় রান তুলে দেয় স্কোরবোর্ডে। এ দিন যেমন শুরুতে হাসি-মুরলী মিলে প্রায় একশো রান তুলে দিল ওপেনিং জুটিতে। যার ফলে সুরেশ রায়না এসেই চালাতে পারল। রায়নার ব্যাপারটা হল ও একেবারে ক্লিন হিটার। এ দিন যেমন নারিনকেও রেয়াত করেনি। ফর্মে না থাকলেও রায়নাকে খেলিয়ে গিয়েছে ধোনি। যার ফলটা ফাইনালে পেল।
|