আলিপুরে ধোনির শ্বশুরবাড়ির সামনে।
তখন খেলা চলছে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক |
‘জায়ান্ট স্ক্রিন’-এ চলছে খেলা দেখানো।
সল্টলেকের সিটি সেন্টারে। ছবি: রাজীব বসু |
জামাই জিন্দাবাদ
কলকাতায় অন্তত একটি বাড়িতে শাহরুখ নন,
হিরো
ধোনি।
ঠিকানা,
বর্ধমান রোডের সুন্দরম
অ্যাপার্টমেন্ট।
এই
বাড়ির ৩বি
ফ্ল্যাটে থাকেন সাক্ষী
ধোনির
বাবা-মা।
অবশ্য তাঁরা
বাড়ি নেই।
তাতে কী?
জামাইষষ্ঠীর
দিনে
জামাই
মাহির
হয়েই গলা ফাটিয়েছেন
সুন্দরমের
বেশির ভাগ
বাসিন্দা। বাদ
যায়নি খুদেরাও।
“শাহরুখ
অভিনয়ে এক
নম্বর হতে পারেন।
কিন্তু, দেশের
জন্য
বিশ্বকাপ
জিতেছে ধোনি,” বলছে সকলে। |
গম্ভীরে সিটি সেন্টার
শপিং, কেএফসি চিকেন এবং আইপিএল ফাইনাল।
বাইরে
ঝমঝম বৃষ্টিকে হারিয়ে জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখতে
উপচে পড়া
ভিড়। যা শুরু হয়েছিল
বিকেল থেকেই।
‘রা ওয়ান’ রিলিজের
আগে প্রোমোশনাল ইভেন্টে যে মঞ্চে
‘ছম্মক
ছল্লো’-র সঙ্গে নেচেছিলেন শাহরুখ, সেখানে
রবিবার
জনতা প্রাণপণ চেঁচাল
কলকাতার জন্য। গত
বছর ২
এপ্রিল এই ভিড়ই ছিল ধোনির পাশে।
এ দিন
কিন্তু সবটুকুই গম্ভীরদের জন্য।
|
পাশে সাউথ সিটিও
বদলে গেল ছবিটা! সৌজন্যে আইপিএল-য়ের ফাইনাল। রবিবারের
সন্ধ্যায় মলের দোকান ফাঁকা করে,
রেস্তোরাঁ ফাঁকা করে সবাই ভিড়
করেছিলেন সাউথ সিটির জায়ান্ট স্ক্রিনের সামনে। প্রতিটি বলের সঙ্গে যে
হো হো
আওয়াজটা উঠছিল, সেটা ঘুরপাক খাচ্ছিল গোটা মলে। ততক্ষণে দোকান ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন
এক তরুণ কর্মী। ফুডকোর্ট থেকে উঁকি দিচ্ছেন এক তরুণী। তবে চেন্নাইয়ের ধুন্ধুমার
ব্যাটিংয়ের পরে বিসলাকে
দেখার জন্য খুব বেশি মানুষ পড়ে রইলেন না। |
বেহালা মগ্ন কেকেআর-এ
|
বেহালার একটি ক্লাবে। রবিবার বিশ্বনাথ বণিকের তোলা ছবি। |
চিপকে প্রথম বল পড়ার আগে বেহালায় সৌরভের বাড়ির গলির মুখে দাঁড়িয়েই ‘বিজয়োৎসব’-এর খুঁটিনাটি ছকে
ফেলা হল।
সৌরভের বাড়ির লাগোয়া ক্লাবটা তালাবন্ধ। তবে ডায়মন্ড হারবার রোডের ক্লাবগুলোয় সন্ধে নামতেই
সাজ-সাজ।
পুণের ছিটেফোঁটাও নেই। শীতলাতলা, সঙ্ঘশ্রী বা পেয়ারাবাগানের সন্দীপ, স্বপনদের
গলায়
শুধুই কলকাতা। আতসবাজির
খোঁজে হন্যে সকলে। বীরেন রায় রোডের গলিতে
মঙ্গলচণ্ডী ভবনের সামনে ওবি ভ্যান দাঁড়িয়ে রইল সারাক্ষণ। |
সাকিবে ইডেন
|
মুরলি বিজয়ের আউটের পর ইডেনে কেকেআর সমর্থকদের উল্লাস। ছবি: রাজীব বসু |
সাকিব আল হাসান ঝাঁপিয়ে ক্যাচটা তালুবন্দি করতেই লাফিয়ে উঠলেন ওঁরা দু’জন। মহম্মদ আনোয়ার
হুসেন এবং
বায়তুল্লা। কাজের সূত্রে ঢাকা থেকে এসেছেন। সাকিব ভাইয়ের দলের হয়ে গলা ফাটাতে হাজির
ইডেন স্টেডিয়ামের
ব্রডকাস্ট কন্ট্রোল রুমে জায়ান্ট স্ক্রিনের সামনে, যেখানে খেলা দেখার ব্যবস্থা
করেছেন ক্রীড়ামন্ত্রী। সেখানে হাজির তারকাদের
সামনেই বারবার লাফিয়ে উঠেছেন বেহালার
শুভজয় আচার্য, উল্টোডাঙার সৌরভ দাসরা। গমগম করে উঠেছে গোটা ঘর। |
বাঙালি তামিল
|
গম্ভীর-বাহিনী মাঠে নামতেই একরত্তি নাতনিকে উঁচু করে তুলে উঠে দাঁড়ালেন সি সীতারামন। “দেখছ তো মা,
এই আমাদের টিম,” পরিষ্কার বাংলায় সগর্ব ঘোষণা রাজা বসন্ত রায় রোডের তামিলভাষী প্রৌঢ়ের। শ্যালক অনন্ত
নারায়ণ, স্ত্রী চন্দ্রাও বাংলায় সড়গড়। সকলেরই এ ক’দিন শুধু কেকেআরের জন্য উৎকণ্ঠা। তরুণ আইটি
পেশাদার গণেশ রামচন্দ্রন কিন্তু চেন্নাইয়ের পক্ষে। শুধু শিকড়ের টান নয়, ক্যাপ্টেন কুলও তার বড় কারণ।
|
|
|
কেকেআর-এর সমর্থনে শহরের রাস্তায়
খুদেদের মিছিল। সুমন বল্লভের তোলা ছবি। |
মধ্য কলকাতার ফুটপাথে ভিড়
জমিয়েছেন উৎসাহীরা। নিজস্ব চিত্র |
প্রতিবেদন: ঋজু বসু,
কুন্তক চট্টোপাধ্যায়, প্রিয়দর্শিনী রক্ষিত |