দু’বছর আগে এক টিভি সাক্ষাৎকারে শাহরুখ খান বলেছিলেন, আইপিএল জিতলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো জামা খুলে ওড়াবেন। তেমন দৃশ্য শেষ পর্যন্ত দেখা গেল না। কিন্তু শনিবার চেন্নাইয়ের মাঠে আইপিএল ট্রফি জেতা শাহরুখ খান কি ‘দিদি’-র পথে হাঁটতে পারেন? এমন কিছু যা দীর্ঘ বাম রাজের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? কলকাতায় আইপিএল জয়ের উৎসব নিয়ে তাঁর যা পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে, তাতে সে রকম কিছু হলেও হতে পারে।
চেন্নাইতে গৌতম গম্ভীর, জাক কালিস, মনবিন্দর বিসলাদের সঙ্গে ট্রফি জয়ের উৎসব মাঠের মধ্যেই শুরু করে দেন কেকেআর মালিক। কিন্তু সেই বিজয়োৎসবের মধ্যেও কলকাতার প্রতি তাঁর শপথের কথা ভোলেননি বাজিগর। কাপ জিতে ওঠার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি একান্ত ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দেন, কলকাতায় কী ভাবে বিজয়োৎসব করা যায়, তা নিয়ে। সোমবারে সন্ধ্যায় পুরো টিম নিয়ে কলকাতায় আসছেন শাহরুখ। সে দিনই আর কিছু করে ওঠা সম্ভব হবে না হয়তো। মঙ্গলবার সকালে প্রথম তিনি যেতে চান মহাকরণে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে। তার পর পুরো কেকেআর টিম নিয়ে মহাকরণ থেকে কলকাতার রাস্তায় হেঁটে ট্রফি নিয়ে ঢুকতে চান ইডেনে। মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নিয়ে মমতা যেমন রাজভবন থেকে হেঁটে ঢুকেছিলেন মহাকরণে। রবিবার রাতে শাহরুখ এ রকম ইচ্ছাপ্রকাশ করার পর তাঁকে কেউ কেউ বলেন, পুলিশের অনুমতির ব্যাপার আছে। কিন্তু শাহরুখ বলতে থাকেন, তিনি ‘দিদি’র সঙ্গে দেখা করে তাঁর পরিকল্পনার কথা জানাবেন। গভীর রাতে চেন্নাইতে কেকেআর পার্টি শুরু হওয়া পর্যন্ত তাঁর পরিকল্পনায় অনড় শাহরুখ।
মঙ্গলবার ইডেনে বড়সড় বিজয়ী সংবর্ধনার পরিকল্পনা করে ফেলেছে সিএবি। শাহরুখ-সহ পুরো কেকেআর টিম তো সেখানে থাকবেই, জড়ো করার চেষ্টা হচ্ছে শহরের অন্যান্য জগতের সেলিব্রিটিদের। কলকাতার ক্রিকেটভক্তদের বিশেষ গেট পাস দিয়ে মাঠে ঢোকানো যায় কি না, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে। বাংলার সমস্ত ক্রিকেটারকে আমন্ত্রণ জানানোর কথাও ভেবেছে সিএবি। যার অর্থ, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও থাকতে পারেন ইডেনের অনুষ্ঠানে। স্থানীয় ক্রিকেট প্রশাসনে কারও কারও কাছে, এটা ত্রিমুকুট জয়ের সমান। বিজয় হাজারে, দলীপ ট্রফি, আইপিএল।
কাপ নিয়ে শহরে ঢোকা কেকেআর মালিকের অনুষ্ঠানসূচিতে তাই দু’টোই থাকছে। মহাকরণে ‘দিদি’, ইডেনে ‘দাদা’!
|