অবশেষে মুখে হাসি। ম্যাচ জিতে উঠএ পরোক্ষে ধোনির দর্শনকেও সমালোচনা করলেন গৌতম গম্ভীর। যিনি সাফ জানাচ্ছেন, দলগত খেলায় ট্রফি জয়ের কৃতিত্ব কখনও একা ক্যাপ্টেনের হতে পারে না। সে কৃতিত্ব তাকে দেওয়া হলে টিমেরই অবমাননা হয়। মধ্যরাতের চিপকে সাংবাদিক সম্মেলনে গম্ভীর যা বলেন—
|
এককথায় অভাবনীয়, বিসলা আর কালিসের জুটিটাই আমাদের ম্যাচে রেখে দিয়েছিল আর সব শেষে আসল কাজটা করেছে সাকিব আর মনোজ।
|
“বালাজির চোট না থাকলে আজ আমার খেলাই হত না। ভাল লাগছে সুযোগটা পেয়ে কাজে লাগাতে পেরেছি। আরও ভাল লাগছে কারণ দলের এই ট্রফি জয়ে আমি বড় অবদান রাখতে পারলাম বলে। গম্ভীর যখন আউট হল একটু টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম। কালিস ক্রিজে এসে আমাকে বলে, সহজ থাকার চেষ্টা করো। নিজের খেলা খেলো।” — মনবিন্দর বিসলা |
|
আমরা জানতাম, আমরাই টুর্নামেন্টের সেরা বোলিং ইউনিট। আমাদের বিরুদ্ধে যদি কেউ ১৯০ তুলতে পারে, পাল্টা দেওয়ার মতো ফায়ার পাওয়ার আমাদের আছে। বলা হচ্ছিল আমাদের মিডল অর্ডার নাকি ফ্লপ। ঠিক সময়েই কিন্তু মিডল অর্ডার কাজটা করে দিয়ে চলে গেল।
|
প্রথম ওভারে আউট হয়েও ম্যাচ জেতা অবধি প্যাড না খোলা |
বলতে পারেন কুসংস্কার। ইডেনে কিংস ইলেভেন ম্যাচে ১৩ বলে ১২ রান দরকার ছিল। সে দিন প্যাড খুলে ফেলেছিলাম আর হেরে গিয়েছিলাম। তার পর থেকে কোনও ম্যাচেই আর প্যাড খুলিনি। সেই কুংস্কারের জন্যই শেষ বল অবধি প্যাড পরে ছিলাম।
|
আমি বরাবর মনে করেছি, আগে কেউ যতই ভাল খেলুক ফিনিশারের কাজটাই আসল। এই কাজটা শেষ ওভারে করেছে মনোজ। আর তার আগের ওভারে সাকিব।
|
প্রথম যখন কেকেআর ক্যাপ্টেন হয়ে আসি, ওকে নিয়ে অনেক কথা শুনেছিলাম। ও নাকি টিম গড়ায় নাক গলায়। ক্রিকেটীয় সব কিছু নিয়ে কথা বলে...ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি জোর গলায় বলছি, আমি ক্যাপ্টেন থাকাকালীন, শাহরুখ কোনও দিন ক্রিকেটীয় কোনও ব্যাপারে নাক গলায়নি। এটা করো, ওটা করো বলে কোনও কিছু আমার উপর চাপিয়ে দেয়নি। ম্যাচ শেষে ওর উচ্ছ্বাসের কারণ আছে। গত চার বছর ধরে রক্তাক্ত হয়েছে। আজ তো ওরই দিন। ওর জন্যই আমাদের ট্রফিটা জেতা দরকার ছিল। |