পুকুর ভরাটে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুরাতন মালদহের সিপিএম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এই ব্যাপারে পুর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পুরাতন মালদহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল। অভিযোগের জেরে ইতিমধ্যেই পুলিশ এবং ভূমিরাজস্ব দফতরের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে একটি ট্রাক্টর আটক করা হয়েছে। শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে দেড় বিঘার একটি পুকুর গত কয়েকদিন ধরে ভরাটের চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ। পুর চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ শুকুল ওই ওয়ার্ড থেকেই নির্বাচিত হয়েছেন। যে চার জনের বিরুদ্ধে পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠেছে তাঁরা পুর চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ। পুর চেয়ারম্যানের মদতেই পুকুর ভরাটের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। মালদহ থানার আইসি বিনোদবিহারী ভট্টাচার্য বলেন, “জলাভূমি ভরাটের অভিযোগ পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থল থেকে একটি ট্রাক্টর বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জলাভূমি ভরাট করাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।” তৃণমূলের পুরাতন মালদহ ব্লক সভাপতি বৈশিষ্ট ত্রিবেদী বলেন, “আমার বাড়ির পিছনে গত ৭ দিন ধরে জলাভূমি ভরাটের কাজ চলছে। ট্রাক্টর করে মাটি এনে ফেলা হচ্ছিল। খোদ চেয়ারম্যানের মদতে তাঁর চার অনুগামী ওই জলাভূমি ভরাট করেছে। প্রতিরোধ করেও জলাভূমি ভরাট বন্ধ করতে না-পারায় থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।” যদিও ওই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন পুর চেয়ারম্যান। তাঁর দাবি, “আমার বিরুদ্ধে তৃণমূল ব্লক সভাপতি থানায় অভিযোগ করেছে বলে শুনেছি। কিছু প্রমোটার ওই নিচু জমি কিনে ভরাট করে তা বিক্রি করবে বলে আমিও শুনেছি। যারা ওই ঘটনায় জড়িত তাদের কাউকেই চিনি না।” পুর চেয়ারম্যানের বক্তব্য, কে, কখন, কোথায় জলাভূমি ভরাট করছে সেটা তাঁর পক্ষে নজরদারি করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “এলাকায় বহু জায়গায় স্থানীয় পুজো কমিটি ও ক্লাবকে ডোনেশন দিয়ে জলাভূমি ভরাট করছে কিছু প্রমোটার। আমার ওয়ার্ডে জলাভূমি ভরাটের বিষয়টি নজরে আসার পরেই ঠিক করেছি পুরসভার পক্ষ থেকে সোমবার থানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে। ওই জলাভূমি কোনও ভাবেই ভরাট করতে দেওয়া হবে না।” পুরাতন মালদহ ব্লক ভূমি রাজস্ব আধিকারিক অসীম কুমার দাস বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ ও আমাদের দফতরের আধিকারিকেরা অভিযান চালিয়ে একটি ট্রাক্টরকে আটক করেছে।” |