গভীর জঙ্গল থেকে হস্তিশাবকের মৃতদেহ উদ্ধার হল। রবিবার ঘটনাটি ঘটে দলগাঁ রেঞ্জে বান্দাপানি জঙ্গলে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দেড় সপ্তাহ ধরে ৪০টি হাতির দল ওই জঙ্গলে রয়েছে। শাবকটি ওই দলের সদস্য বলেই মনে করছেন বনকর্মীরা। জলপাইগুড়ির ডিএফও কল্যাণ দাস বলেন, “ওই শাবকটি মায়ের দুধ খাচ্ছিল। পেটের অসুখে ভুগে সে মারা গিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এ ছাড়া আপাতত অন্য কোনও কারণ দেখা যাচ্ছে না।”
|
তুমুল লড়াইয়ের পরে এক দাঁতালের ঘায়ে অন্য দাঁতালের মৃত্যু হল। ঘটনাটি ঘটেছে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে। ডিএফও দিব্যধর গগৈ জানান, শুক্রবার রাত থেকেই জঙ্গলে অন্য প্রাণীদের আচরণ থেকে বোঝা যায়, বড়সড় দুই প্রাণীর মধ্যে লড়াই বেধেছে। বনরক্ষীদের সতর্ক করা হয়। আজ সকালে,অগরাতলি রেঞ্জ থেকে একটি মৃত পুরুষ হাতির দেহ মেলে। দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। অন্য দিকে, কোহরার মিকিরজান শিবির এলাকা থেকে গতকাল চারটি বুনো হাতি বের হয়ে এসে বন শিবির, জাপোরি পথারের সাতটি বাড়ি ও একটি আঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ভাঙচুর করে। জখম হন দুই গ্রামবাসী।
|
দলমা থেকে আসা ৭টি হাতির দল গত ক’দিন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার কিছু গ্রামে। রবিবার সকালে হাতির হানায় কাড়াশোলের নেপাল আহির নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। তাঁকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে হাতিটি। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। রূপনারায়ণ বিভাগের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা জানান, এলাকা থেকে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
|
দীর্ঘ পাঁচ বছর পরে ঝাড়খণ্ডে হাতি গণনা শুরু হচ্ছে ১ জুন। তিন দিন ধরে চলবে এই গণনা। কনজারভেটর অফ ফরেস্ট (পলামু ব্যাঘ্র প্রকল্প ও বেতলা কোর এরিয়া) প্রেমজিৎ আনন্দ জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুসারে ঝাড়খণ্ড ও সংলগ্ন আরও তিনটি রাজ্যে চলবে এই গণনার কাজ।
|
ঘুমাপাড়ানি গুলি ছুড়ে কাবু করার পরে জঙ্গলে ছাড়ার সময়ে মারা গেল দুটি বাইসন। রবিবার ডুয়ার্সের গরুমারা এলাকায়। বন দফতর সূত্রে গিয়েছে, এদিন সকালে একটি বাইসন রামসাই গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর কালামাটি এবং মালবাজারের ঝাড় মাটিয়ালি গ্রামে ঢুকে পড়ে। বনকর্মীরা ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে বাইসন দুটিকে কাবুর করার চেষ্টা করেন। জলপাইগুড়ির বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও সুমিতা ঘটক বলেন, “জঙ্গলে ছাড়ার কিছু পরে বাইসন দুটি মারা গিয়েছে।” |