লাল সিগন্যাল উপেক্ষা করার অভিযোগ উঠেছিল ট্রেনচালকের বিরুদ্ধে। জোড়া তদন্তের পরে অন্ধ্রপ্রদেশের পেনুকোন্ডা স্টেশনে হাম্পি এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ওই ট্রেনের চালক এবং সহকারী চালককে সাসপেন্ড করল রেল বোর্ড। সেই সঙ্গেই অফিসার ও কর্মী মিলিয়ে সাসপেন্ড করা হয়েছে আরও পাঁচ জনকে।
গত ২১ মে বেশি রাতে পেনুকোন্ডা স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালগাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে বেঙ্গালুরুগামী হাম্পি এক্সপ্রেস। ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৬ জনের। ৫৫ জন যাত্রী জখম হন। প্রচণ্ড সংঘর্ষের জেরে ইঞ্জিনের পরে থাকা প্রথম কামরাটিতে (মহিলা কামরা) আগুন ধরে যায়। অগ্নিদগ্ধ হয়েই মারা যান ১৬ জন মহিলা। প্রাথমিক তদন্তেই ধরা পড়ে, নিয়মবিধির তোয়াক্কা না-করে ওই কামরায় তিনটি তেল-ভর্তি মোটরবাইক নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই তেলের ইন্ধনেই কামরার মধ্যে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
দুর্ঘটনার কারণ এবং আগুন ধরে যাওয়ার কারণ ঠিক কী, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। রেলওয়ে সেফটি অফিসার এবং অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ কর্তৃপক্ষ আলাদা ভাবে তদন্ত শুরু করেন। দুর্ঘটনার রাতেই ট্রেনটির চালকদের বিরুদ্ধে সিগন্যাল উপেক্ষা করার অভিযোগ দায়ের করেছিল পুলিশ। তদন্তকারীদের প্রাথমিক রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করে রেল-কর্তৃপক্ষ শনিবার সাত রেলকর্মীকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন।
রেল সূত্রের খবর, সিগন্যাল উপেক্ষা করার অভিযোগে ট্রেনের চালক ও সহকারী চালককে, ঠিকমতো সিগন্যাল কেবিন পরিচালনা না-করার অভিযোগে পেনুকোন্ডার স্টেশনমাস্টারকে এবং একই কারণে ওই সার্কেলের ট্রাফিক ইনস্পেক্টরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আর তেল না-ফেলে ট্রেনের যাত্রী-কামরায় বেআইনি ভাবে মোটরবাইক নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই ডিভিশনেরই বাণিজ্যিক বিভাগের এক ইনস্পেক্টর এবং দুই কর্মীকে। |