কলকাতায় এসে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে গেলেন বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুশীল মোদী। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি নানা প্রশ্নে মমতা-সরকারের সমালোচনা করে থাকে। কারণ রাজ্য রাজনীতিতে সেটা তাদের বাধ্যবাধকতা। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় বিজেপি নেতৃত্বের উদ্দেশ্য ইউপিএ সরকারকে ফেলে দেওয়া। সেই কারণেই তাঁরা ইউপিএ শরিক মমতাকে ওই জোট থেকে বার করে আনতে চাইছেন। এর আগেও বিজেপি নেতৃত্ব ওই প্রয়াস চালিয়েছেন। মোদীর এ দিনের মমতা-স্তুতিও সেই চেষ্টা বলেই মনে করছে বিজেপি-র একাংশ।
মমতা-সরকারের প্রথম বছর সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়ন কী? রবিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে এই প্রশ্নের জবাবে মোদী বলেন, “এক বছর মূল্যায়নের পক্ষে যথেষ্ট নয়। আর অন্য রাজ্যের সরকারের কাজকর্ম নিয়ে মন্তব্য করব না। শুধু বলতে পারি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সৎ এবং স্বচ্ছ মহিলা। তিনি অনেক কিছু করার চেষ্টা করছেন।” মোদীর আরও বক্তব্য, “রাজনীতিতে চিরশত্রু বা চিরমিত্র বলে কিছু হয় না। মমতাজি আগে এনডিএ-তে ছিলেন। ভবিষ্যতে পরিস্থিতি এলে ফের তিনি এনডিএ-তে আসতে পারেন। এলে তাঁকে স্বাগত জানাব।” কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ২৬% মুসলিম ভোটার আছেন। হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে যোগ দিলে তাঁদের সঙ্গে মমতার দূরত্ব তৈরি হতে পারে। সে জন্য মমতা যে মোটেই এনডিএ-তে যোগ দেবেন না, তা বিজেপি ভালই জানে। তবুও তারা মমতার প্রশংসা করার পাশাপাশি এনডিএ-তে তাঁকে ‘স্বাগত’ জানিয়ে যাচ্ছে ইউপিএ থেকে তাঁকে বার করে আনার উদ্দেশ্যেই। কারণ মমতা বেরিয়ে এলে কেন্দ্রের ইউপিএ সরকারের সঙ্কট তৈরি হবে। তাতে লাভ হবে বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র। যে কারণে মোদী এ দিন বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইউপিএ-তে থেকেও যে তাদের ভুল নীতির বিরুদ্ধে বলার সাহস দেখাচ্ছেন, তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ।” |