কাছাড় জেলার বড়খলা আসনের কংগ্রেস বিধায়ক রুমি নাথ অপহৃত হয়েছেন বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর স্বামী রাকেশ সিংহ। তবে কারা রুমি দেবীকে অপহরণ করতে পারে, তার কোনও ইঙ্গিত নেই রাকেশের দেওয়া এজাহারে।
অন্য দিকে স্বয়ং বিধায়ক রুমি নাথ প্রচার মাধ্যমকে ফোন করে জানিয়েছেন, তিনি মোটেও অপহৃত হননি। স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়ে করিমগঞ্জ জেলার মহাকল ব্লকের বাসিন্দা জাকির হোসেনের সঙ্গে দ্বিতীয় বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তবে তিনি কোথায় আছেন, তা জানাতে চাননি রুমি। কংগ্রেসের এই বিধায়ক জানান, তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তাঁর নতুন নাম রাবেয়া সুলতানা। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের আগে দ্বিতীয় বার বিবাহ কি আইনসিদ্ধ? ৩১ বছর বয়সি বিধায়ক রুমির দাবি, ধর্মান্তরিত হলে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রয়োজন পড়ে না।
এ দিকে কাছাড়ের পুলিশ সুপার দিগন্ত বরা জানিয়েছেন, অপহৃতা ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে এবং একজন জনপ্রতিনিধি হলেও তিনি নিজে পুলিশকে স্বেচ্ছায় চলে যাওয়ার কথা না-জানানো পর্যন্ত ঘটনাটিকে অপহরণের মামলা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। পুলিশ তাই খুঁজে বেড়াচ্ছে রুমি দেবীকে।
ঘটনা হল, দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি নিয়ে এপ্রিল মাসে বরাক কংগ্রেসের একটি মহলে অভিযোগ উঠলে বিধায়ক রুমি তা অস্বীকার করেছিলেন। পেশায় চিকিৎসক স্বামী রাকেশ সিংহকে নিয়ে গত ১৩ মে রুমি বড়খলার মন্দিরে মন্দিরে পুজোও দেন তিনি। দ্বিতীয় বিয়ের খবরকে ‘গুজব’ এবং ‘কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের’ বলেই মন্তব্য করেছিলেন ওই বিধায়ক। অপহরণ মামলার পর এ বার রুমি নিজেই জানিয়েছেন, তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে গত ১৩ এপ্রিল। রাজনৈতিক ও পারিবারিক চাপে এত দিন মিথ্যে বলেছেন। তবে রুমি সে সময় ‘অভ্যন্তরীণ কোন্দলের’ কথা বলায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ জেলা কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভুবনেশ্বর কলিতার কাছে ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। |