সিরিয়ায় সেনার হত্যাকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করল রাষ্ট্রপুঞ্জ। পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদকে সরাতে কূটনৈতিক ভাবে আরও তৎপর হল আমেরিকা।
গত কাল হৌলা শহরে আসাদ-বিরোধী বিক্ষোভের সময়ে গুলিবর্ষণ করে নিরাপত্তাবাহিনী। পাল্টা গুলি চালায় বিরোধীরা। তার পরে গোলাবর্ষণ শুরু করে সেনা। নিহত হন ১০০ জন। নিহতদের মধ্যে ৩২ জন শিশুও রয়েছে। হৌলা শহরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন সিরিয়ায় রাষ্ট্রপুঞ্জের পর্যবেক্ষকরা। এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের পুরোপুরি বিরোধী বলে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব বান কি-মুন এবং সিরিয়ায় রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ দূত কোফি আন্নান। ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা। |
রাষ্ট্রপুঞ্জের দাবি, শহরে ভারী অস্ত্রের ব্যবহার সিরিয়া সরকারকে এখনই বন্ধ করতে হবে। গত কালের হামলায় কামান ও ট্যাঙ্ক থেকে গোলা ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মার্কিন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টনও। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, আসাদকে সরাতে তৎপরতা বাড়িয়েছে ওয়াশিংটন। এই বিষয়ে রাশিয়ার সাহায্য চায় আমেরিকা। রাশিয়ার সঙ্গে আসাদ সরকারের সম্পর্ক ভাল। আগে সিরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ায় রাষ্ট্রপুঞ্জকে বার বার বাধা দিয়েছে রাশিয়া। কিন্তু এখন সেই অবস্থান বদলাতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন কূটনীতিকরা। গত সপ্তাহে জি-৮ গোষ্ঠীর বৈঠকের শেষে সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের সঙ্গে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সম্প্রতি ইয়েমেনে প্রবল বিক্ষোভের পরে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য হয়েছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লা সালেহ। ইয়েমেন সমস্যায় মধ্যস্থতা করেছিল প্রতিবেশী আরব দেশগুলি। সিরিয়ার ক্ষেত্রেও তারা এই ধরনের সমাধান চায় বলে ইঙ্গিত
দিয়েছে আমেরিকা। |