নিজেদের দাবি থেকে সরে এসে কম আসনের ব্যাপারে তাঁরা রাজি থাকলেও তৃণমূলের ‘অনড়’ মনোভাবের জন্যই পুরভোটে জোট হয়নি দুর্গাপুরে। রবিবার সন্ধ্যায় প্রচারে এসে এমনটাই দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য।
দুর্গাপুরে জোট না হওয়ার জন্য এর আগেও তৃণমূলের উপরেই দোষারোপ করেছেন কংগ্রেস নেতারা। এ দিন গ্যামন ব্রিজে প্রচারসভায় প্রদীপবাবু বলেন, “দুর্গাপুর পুরসভায় জোট চেয়ে আমরাই উদ্যোগী হয়েছিলাম। প্রথমে ৪৩টির মধ্যে ১৫টি আসন দাবি করলেও পরে ১১টিতে নেমে এসেছিলাম। তার পরেও তৃণমূলের অনড় মনোভাবের জন্য জোট হল না।” |
এ দিনই সন্ধ্যায় শহরে প্রচারে এসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা রেলমন্ত্রী মুকুল রায়। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারসভায় তিনি বলেন, “এলাকার দুই বিধায়ক তৃণমূলের। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরও তৃণমূলের হাতে। তাই ভাল কাজ পেতে মানুষ নিশ্চয় বিবেচনা করে তৃণমূলকেই ভোট দেবেন।” পাহাড়ের পরিস্থিতি থেকে কঙ্কাল-কাণ্ড, সব কিছু নিয়েই সিপিএমকে কটাক্ষ করেন রেলমন্ত্রী। কারও নাম না করে কংগ্রেসের সমালোচনাও করেন মুকুল। তিনি বলেন, “এর পরেও যদি সিপিএম-কে ভোট দিতে ইচ্ছে করে তো দেবেন। না হলে ভোটটা তৃণমূলকেই দিন। কিন্তু সিপিএমের উচ্ছিষ্টভোগী কাউকে ভোট দেবেন না।”
প্রচারসভায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপবাবু তাঁদের কর্মীদের উপরে ‘হামলা’ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “সারা রাজ্যের মতো দুর্গাপুরেও কংগ্রেস কর্মীদের মারধর, হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কংগ্রেস ১২৭ বছর ধরে এ সব সহ্য করছে। তাই আমাদের কর্মীরা এতে ভয় পায় না।” |