পাত পেড়ে হোক জামাই আদর
বশেষে জামাইষষ্ঠী রবিবার দেখেই এল। কাল থালার সামনে বাটির মেলা। শাশুড়ি ঠাকরুণ নিশ্চয়ই ভেবে রেখেছেন, গত বারের মুড়িঘণ্টটি এ বারে আর রিপিট নয়। তবে? দেখুন, বাঙালি রান্না বাবাজীবন তো রোজই খান, বচ্ছরকার দিনে নতুন কিছু করুন না! শেষ বেলায় তেমনই দু’টো আইডিয়া দিচ্ছে উৎসব। একটি রেওয়াজি আমিষ, অপরটি নিরামিষ পরমান্ন। একটি মুঘলাই হেঁসেলের রেসিপি, অথচ তার অন্দরে পমফ্রে। অন্যটি রাজস্থানি মিষ্টি ক্ষীর, কিন্তু ঝাঁঝালো রসুন দিয়ে তৈরি। ব্যাপারটা কিঞ্চিৎ ঘোরালো লাগছে? তা তো বটেই, কিন্তু হলফ করে বলছি, দিব্যি জমকালোও। পরের বার রিপিট অর্ডার আসবেই আসবে...মিলিয়ে নেবেন!
অ্যায়েশ-এ-পমফ্রে
পরিবেশন:৪ জন
প্রস্তুতির সময়: ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
রান্নার সময়: ২৫ মিনিট
উপকরণ পরিমাণ
পমফ্রে ৮ টুকরো
জাফরান ১ গ্রাম
জল ঝরানো/ছাঁকা দই ১ কাপ
পেঁয়াজ বাটা ভাজা ৯০ গ্রাম
রসুন বাটা ভাজা ৩০ গ্রাম
লাল লঙ্কা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
মালাই ৯০ গ্রাম
উপকরণ পরিমাণ
শুকনো করে আদা বাটা ৩ ১/২ চা চামচ
শুকনো করে রসুন বাটা ১ ১/২ চা চামচ
উপকরণ পরিমাণ
কিশমিশ (জলে ধুয়ে, ছেঁকে, শুকনো করা) ৩০ গ্রাম
বাদাম (২ মিনিট ধরে ঠান্ডা, গরম জলে ‘ব্লাঞ্চ’ করে ঠান্ডা করে খোসা ছাড়ানো) ৩০ গ্রাম
পেস্তা (২ মিনিট ধরে ঠান্ডা, গরম জলে ‘ব্লাঞ্চ’ করে ঠান্ডা করে খোসা ছাড়ানো) ১৫ গ্রাম
পোস্ত দানা (১০ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখা) ১৫ গ্রাম
শাহি মসলা ১৫ গ্রাম
 
প্রস্তুতি
বাটিতে সব উপকরণ মিশিয়ে নিন। পমফ্রে’টা এই মিশ্রণে মাখিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। জাফরানের শিরাগুলো হামানদিস্তা বা চামচ দিয়ে গুঁড়িয়ে, ২ বড় চামচ ঈষদুষ্ণ জলে রেখে একটা মিশ্রণ তৈরি করে নিন। শাহি পেস্টের জন্য, ব্লেন্ডারে সব উপকরণ ও ৬ বড় চামচ জল দিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে নিন। পেস্টটা আলাদা সরিয়ে রাখুন। কোর্মা বাটা বানাতে জাফরান বাটা, ছাঁকা দই, ভাজা পেঁয়াজ ও রসুন বাটা, লঙ্কা গুেঁড়া, নুন, শাহি পেস্ট ও শাহি মসলা বড় বাটিতে ভাল করে মেশান। পমফ্রে তুলে ধরে বাড়তি ম্যারিনেডটা ঝরিয়ে নিন। ড্রামস্টিকগুলো কোর্মা পেস্টে মাখান। বড় হাঁড়িতে প্রত্যেকটা পমফ্রে টুকরো পর্যাপ্ত ফাঁক রেখে সাজান। তাতে বাকি পেস্টটা ঢেলে দিন। তার পর ওপরে মালাইটা সমান ভাবে ছড়িয়ে দিন। ওভেনটা ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে তাতিয়ে রাখুন।

প্রণালী
স্টোভের ওপর হাঁড়ি বসিয়ে, পেস্টটা না ফোটা পর্যন্ত, মাঝারি আঁচে ভাজা ভাজা করে নাড়ুন। আগুন থেকে সরিয়ে মুখটা ঢেকে রাখুন, ঢাকার মুখ আটা দিয়ে বন্ধ করে দিন। খাবারটাকে তাতানো ওভেনে ১৫ মিনিট ধরে দম-রান্না (আস্তে আস্তে রান্না) করুন। সরিয়ে এনে, মুখের ঢাকা সরিয়ে মশলাগুলো নেড়েচেড়ে নিন।

সৌজন্য: দাওয়াত-এ-সিরাজ

লহসুন কি ক্ষীর
পরিবেশন: ৪ জন
উপকরণ পরিমাণ
রসুন কোয়া ১০০ গ্রাম
ফটকিরি ১২ গ্রাম
দুধ ১.৫ লিটার
চিনি ২০০ গ্রাম
এলাচ গুঁড়ো ২ চা চামচ
গোলাপজল ৮ থেকে ১০ ফোঁটা
 
প্রণালী
রসুনের দুই প্রান্ত কেটে বাদ দিন। প্রতিটি রসুন লম্বালম্বি চার টুকরো করে নিন।
এই টুকরোগুলো ১ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। জল বদলে নতুন জলে আরও এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।
একটা পাত্রে ৪ কাপ জল গরম করুন। তাতে অর্ধেক ফটকিরি দিয়ে রসুন টুকরো ১০ মিনিট ধরে ফোটান। জলটা ফেলে দিন।
আবার ৪ কাপ জল নিন। তাতে বাকি ফটকিরি দিয়ে ১০ মিনিট ধরে রসুন টুকরো ফোটান। ওই ফোটানো রসুন নতুন জলে ধুয়ে সরিয়ে রাখুন।
অর্ধেক হয়ে যাওয়া পর্যন্ত দুধ ফোটান। রসুন আর চিনি দিন, পুরোটা থকথকে হয়ে আসা পর্যন্ত ফোটান। এলাচ গুঁড়ো ও গোলাপজল দিন।
বরফঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।

সৌজন্য: স্যাফ্রন, দ্য পার্ক



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.